চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার নতুন চাগাচর গ্রামের মেয়ে পাপিয়া আক্তার মুন্নি (১৮) পালিয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর বাড়ি ফিরেছে। জানা যায়, গত ১০ জুন স্থানীয় একই এলাকার আবদুর রহীমের পুত্র মোঃ মঈন উদ্দীন (২১) এর হাত ধরে পালিয়ে যায় মুন্নি। পালিয়ে যাওয়া মুন্নির সন্ধান না পেয়ে তার মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে গত ২১ জুন চন্দনাইশ থানায় মোঃ মঈন উদ্দীন ও তার মা ফাতেমা বেগমকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। মেয়ের পিতা ফোরকান জানান, উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার চাগাচর নতুন পাড়া এলাকার আবদুর রহীমের পুত্র মো.মঈন উদ্দীন তার মেয়ে পাপিয়া সুলতানা মুন্নির সহিত দীর্ঘদিন ধরে সবার অজান্তে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১০ জুন কাউকে না বলে মঈন উদ্দীন মুন্নীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তার পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে। গত ১৫ জুন মুন্নিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মঈন উদ্দীন মোবাইলে সংবাদ দেয়। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করেও ফোরকান তার মেয়েকে না পেয়ে বাড়ি চলে যায়। ফোরকান মঈন উদ্দীনের পরিবারকে বিষয়টি জানালে পরদিন ১৬ জুন রাত পৌনে ১২টায় স্থানীয় মহিলা মেম্বার রোকেয়া বেগমের বাড়িতে ছেলে মেয়ে দুইজনই আসার সংবাদ পায়। মুন্নির পিতা মহিলা মেম্বারের বাড়িতে মেয়ের সংবাদ জানতে গেলে পরদিন ১৭ জুন সালিশির মধ্যে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেওয়ার কথা বলে। ১৭ জুন মহিলা মেম্বারের কাছে সালিশের ব্যাপারে জানতে গেলে তিনি বলেন তারা কোথায় চলে গেছে। পরে ফোরকান তার মেয়েকে আবারো অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে গত ২১ জুন চন্দনাইশ থানায় মেয়ের মা’কে বাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অবশেষে গত ২৮ জুন বিকালে কেরানীহাট এলাকা থেকে মুন্নিকে তার পিতা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়। তবে মঈন উদ্দীন প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাড়িতে আসেনি বলে জানা যায়।
