খোঁড়াখুঁড়ির পর ফেলে রাখা মাটি কাদা হয়ে সড়কে সয়লাব বৃষ্টিতে সড়ক যেন ‘চাষের জমি’

168

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এতোদিন ধূলাবালিতে একাকার ছিলো জামালখান মোড় থেকে চকবাজার পর্যন্ত সড়ক। গতকাল রোববার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সড়কের ধূলাবালিকে কাদায় পরিণত করেছে। কাদার উপর চলে গাড়ি। আর সেই কাদা ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। পথচারীদের কাদামাখা সড়ক পাড়ি দিয়ে যেতে হয় গন্তব্যে। কাদা ছিটকে পড়ে তাদের জামা-কাপড় যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি পড়তে হয়েছে বিভ্রতকর অবস্থায়।
এমন বিভ্রতকর অবস্থায় পড়া সরকারি চাকরিজীবী সৈয়দ জিয়াউল হোসাইনের সাথে চকবাজারে কথা হয়। এসময় জিয়াউল হোসাইন বলেন, এমনিতেই পথটিতে বালুর ছড়াছড়ি। ওয়াসার কাজ শুরুর পর থেকে বালুর জন্য হাঁটাচলা করা যায় না এ সড়কে। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পুরো সড়কটি কাদায় ভরে গেছে। দেখে মনে হয় সড়ক নয়, যেন চাষের জমি।
শুধু জামালখান-চকবাজার সড়ক নয়, গতকাল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে পর নগরীর প্রায় সড়কের হাল এমনই ছিলো। এরমধ্যে ওয়াসার পাইপলাইনের কাজ যেসব সড়কে চলছে সেসব সড়কের অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কাজ করার পর সেখানে ইটের মেকাডম করে দিলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বালি আর মাটি মিশে কাদায় রূপ নিয়েছে। সে কাদা মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে অনেকগুণ।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী ইয়াকুব সিরাজউদদোল্লাহ বলেন, বৃষ্টির কারণে কাদা হয়েছে। এ ব্যাপারে তো কিছু করার নেই। রোদ উঠলে কাদা শুকিয়ে যাবে। আমরা রাস্তাগুলো সলিন করে দিচ্ছি। বৃষ্টির মধ্যে আর কোনো কাজ করার সুযোগ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বহদ্দারহাট-কাপাসগোলা সড়ক, চকবাজার-মুরাদপুর সড়ক, ডিসি হিলের পাশের দুই সড়ক, লাভ লেইন, সিরাজউদদৌলা সড়ক, কাদায় একাকার হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কে ওয়াসার কাজ চলছে। আবার কিছু সড়কে স¤প্রতি ওয়াসা কাজ শেষ করেছে। কাজ শেষ করা সড়কগুলো এতোদিন ধূলাবালিতে ভরা ছিলো। গাড়ি চলাচলের সময় উড়তো ধূলাবালি। এখন এসব ধূলাবালি বৃষ্টির পানিতে কাদায় রূপ নিয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে। এনায়েত বাজার এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, এক একটা রাস্তা চার-পাঁচবার পর্যন্ত কাটা হয়েছে। রাস্তা কাটার কারণে এতোদিন ধূলাবালি উড়ছিলো। স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেওয়ার কোনো উপায় ছিলো না। এখন বৃষ্টির পানির সাথে রাস্তা কাটার মাটি ও বালি যুক্ত হয়ে পুরো সড়ক কদমাক্ত হয়ে গেছে। রাস্তায় পা ফেলার কোনো উপায় নেই। আন্দরকিল্লা এলাকার বাসিন্দা রিগান হোড বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো কাদায় ভরে গেছে। এতো বেশি কাদা জমেছে যে পায়ে হেঁটে চলার সময় পরনের জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।