কাপ্তাই সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট উৎপাদনে যাচ্ছে এপ্রিলে

168

আগামী মাসেই উৎপাদনে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র কাপ্তাই সোলার পাওয়ার প্লান্ট। ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার পাওয়ার প্লান্টটি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, পিডিবি ও সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে গ্রিড সাবস্টেশন ও সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম বৃহৎ সোলার পাওয়ার প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়েছে টেকনাফে। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরু করে ২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার টেকনাফ সোলারটেক নামের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার আলীখালীতে ১১৬ একর জমিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বিনিয়োগ করেছে জুলস পাওয়ার লিমিটেড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা দিয়েছে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি লিমিটেড (টিসিইএল)।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে যোগান দেয়া হবে। ২০২০ সালে দেশে মোট ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। সেই হিসাবে এই সময়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার সৌরশক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাইতে ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের লক্ষ্যে ইপিসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কাপ্তাই ৭.৪ মেগাওয়াট সোলার ফটোভোল্টিক গ্রিড কানেকটেড পাওয়ার জেনারেশন প্ল্যান্ট এট কাপ্তাই’। চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেটটিই কর্পোরেশন পাওয়ার প্লান্টটি নির্মাণ করছে। চুক্তির আওতায় প্রকল্পের ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) করছে জেটটিই কর্পোরেশন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৌরশক্তির এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৯ কোটি ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৮৪ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিচ্ছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই প্রকল্পে সরকারি (জিওবি) অর্থায়ন হচ্ছে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৭ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার টাকা অর্থায়ন করছে পিডিবি। এ প্রকল্পে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৮ পয়সা।
পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর কুমার সেন পূর্বদেশকে বলেন, ‘সরকার ২০২০ সালের মধ্যে মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবাযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কাপ্তাইয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষ। এখন উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য গ্রিড সাবস্টেশন ও সঞ্চালন লাইন নির্মাণ হচ্ছে। আশা করছি, এপ্রিলের মাঝামাঝিতে আমরা প্লান্টটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হব।’