ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি আয়োজন গণতামাশা : কাদের

30

ভোট নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি আয়োজনকে ‘গণতামাশা’ বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র চিত্র তুলে ধরতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গণআদালতের অবয়বে শুনানি করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, যেখানে ফ্রন্টের শীর্ষনেতা গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন থাকবেন বিচারকের ভূমিকায়। ওইদিন সকাল ১০ টা থেকে ৬ ঘণ্টার শুনানি কোথায় হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণশুনানি নয়, এটা গণতামাশা। যেই গণশুনানিতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে ড. কামাল হোসেনের নাম আসে, সেটা কি গণশুনানি? সেটা তো গণতামাশা।
নির্বাচন বাতিল ও পুনরায় ভোট চেয়ে বিএনপির সাত প্রার্থীর হাই কোর্টে মামলার বিষয়ে কাদের বলেন, যখন নির্বাচনে ব্যর্থ হয়, আন্দোলনেও পরাজিত হয়, তখন তাদের সামনে নালিশ আর মামলা ছাড়া অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আর কোনো পথ খোলা থাকে না। এসব করে হতাশ কর্মীদের চাঙ্গা রাখাই হল তাদের উদ্দেশ্য। এছাড়া তো আর কোনো অবলম্বন তাদের নেই। আর কোনো পুঁজিও নেই। এখন মামলা আর নালিশই তাদের সম্বল। মাঝে মাঝে চোখের পানি ঝড়ানো। যখন পারবে না, তখন কান্নাকাটি শুরু করে দিবে। বেগম জিয়া জেলে আছে বলে কান্নাকাটি শুরু করবে। খবর বিডিনিউজের
মামলায় কোনো সমস্যা দেখছেন না ওবায়দুল কাদের। ট্রাইব্যুনালে মামলা হচ্ছে তাতে অসুবিধা কি? মামলা হলে আমরা ফেইস করব, অসুবিধা কি?
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অক্টোবর মাসেই হবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, যথা সময়ে আমাদের সম্মেলন হবে। অক্টোবরের ২৩ তারিখ আমাদের সম্মেলন হয়েছিল। অক্টোবরেই আমাদের সম্মেলনের চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এই ব্যপারে কথা হয়েছে।
গণমাধ্যমের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের সর্বশেষ খবর জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি কমিটির প্রধান, একটা মিটিং আমরা করেছি। শিগগির আমরা আরেকটি মিটিংয়ে উপস্থিত হব।
বিষয়টি এভাবে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। যতদ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধানের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।
নবম ওয়েজবোর্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে রাখার বিষয়টি বিবেচনায় আছে বলেও জানান তিনি।