এডিস মশা আ. লীগ-বিএনপি দেখে না : গয়েশ্বর

63

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়নহীনতার সমালোচনা করে ডেঙ্গু মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গতকাল শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এডিস মশা আওয়ামী লীগকেও চিনে না, বিএনপিও চিনে না, সরকারি দল চিনে না, ডাক্তারও চিনে না, ইঞ্জিনিয়ারও চিনে না, ধনীও চিনে না, গবিবও চিনে না। এদের সুযোগ দিলে সুযোগটা পায়। এই ডেঙ্গু সমস্যার সমাধান মিলে-মিশে করতে হবে, সম্মিলিতভাবে করতে হবে। খবর বিডিনিউজের
তিনি বলেন, ডেঙ্গু বনাম খুন-গুম-নারী নির্যাতন। এই দুইটা যদি প্রতিযোগিতা হয়, দেখা যাবে ডেঙ্গু এখনও শিরোপা অর্জন করে নাই। ডেঙ্গুতে এই পর্যন্ত যতজন মারা গেছে, তার চেয়ে গুম-খুন-নারী নির্যাতনে লাশের মিছিল অনেক বড়। তাহলে ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়াবহ কে? এই সরকার।
গয়েশ্বর রায় বলেন, দুইটা সিটি করপোরেশন আছে। মানুষ রসিকতা করে বলে সিটি করাপশন। অর্থাৎ এই সিটি ভবন মানে এখানে করাপশনের আড্ডাখানার আওতায়। সব এলোমেলো।
গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন। দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী কঠিন অবস্থায় আছেন। তার অবস্থাটাকে পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত না করে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না। উনার চোখটা সুস্থ করুক, মনটা সুস্থ করুক, ভাবনাটাকেও সুস্থ করুক। আমরা মানুষের অমঙ্গল কামনা করি না।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। একজনের কথাই সব চলে। মারা গেছে, ঘোষণা দিতে উনার অনুমতি লাগবে। মারা গেছে ১৪ দিন আগে, ১৪ দিন লাইভ সাপোর্টে। কারণ উনার নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার উনি ঠিক করবেন, কোন পার্টিতে কে প্রেসিডেন্ট হবেন, কে সংসদের বিরোধী দলের নেত্রী হবেন। সব পার্টি উনি চালাবেন। উনার জোটে ১৪টা দল আছে। একটা আইন করে দেন। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, পদাধিকার বলে সব দলের সভাপতি এবং আপনার কথামতো আমাদেরকে চলতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসনের চরম অবনতি : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গয়েশ্বর।