করোনা শহীদদের জন্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এ্যম্বুলেন্স উদ্বোধন

55

আত্মনির্মাণ ও সৃষ্টির সেবায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ২৮ বছর ধরে কাজ করছে বাংলাদেশে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে লাশ দাফন ও সৎকার কার্যক্রম। করোনাকালে যখন সন্তান মা-বাবার লাশ ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে তখনই করোনায় শহীদদের সম্মানজনক শেষ বিদায় জানাতে এগিয়ে এসছে কোয়ান্টাম।
করোনাকালে এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৮৬৬ জন মৃতের শেষ যাত্রায় সেবা দিয়েছেন কোয়ান্টাম স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। গত ২৭ জুন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম সেন্টারের আয়োজনে করোনা শহীদদের শেষ বিদায়ে ব্যবহারের জন্যে কেনা অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সেন্টারের ও আর নিজাম রোডের কার্যালয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এডিশনাল ডিআইজি, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম বিভাগের মোহাম্মদ মুসলিম (পিপিএম)। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম সেন্টারের উপদেষ্টা সমন্বয় মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম সেন্টারের অর্গানিয়ার কো-অর্ডিনেশন এস. এম. সাজ্জাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ও. আর. নিজাম রোড আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মোরশেদ ফিরোজ। প্রধান অতিথি, এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম (পিপিএম) অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, “মানুষ তৈরীর কারখানা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। গরুর বাচ্চা জন্মগ্রহণ করেই গরু হয়। মানুষের পেটে জন্ম নিলেই কেউ মানুষ হয় না। কিছু অনুশীলন ও নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা করেই মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়। উদ্বোধক, বাগমনিরামের কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, “চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুস বসবাস করে। করোনাকালে মানুষের নিরাপত্তাবিধানে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু আমাদের নাগরিক দায়িত্বও কম নয়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এই ক্রান্তিকালে মানবসেবা ও লাশ দাফন-সৎকারে যেভাবে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে তা অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিশেষ অতিথি মঞ্জুর মোরশেদ ফিরোজ বলেন, পরস্পরকে সহযোগিতা ছাড়া কোনো কাজে সফলতা আসে না। বিজ্ঞপ্তি