সচেতনতা সৃষ্টি না হলে সড়ক পরিবহন আইনের অপব্যবহার হবে : ডিআইজি

98

বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, গত ১ নভেম্বরের থেকে নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ আইনে একটি মামলাও আমরা দিইনি। এর কারণ হচ্ছে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আইন বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ, চালক ও মালিকদের সচেতন করছি। কারণ সচেতনতা সৃষ্টি না হলে এ আইনের অপব্যবহার হবে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের ভয়ের কিছু নেই। তবে সড়ক দুর্ঘটনা, যানজটসহ পরিবহন নৈরাজ্য ঠেকাতে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং, এডুকেশন, এনফোর্সমেন্ট এবং এনভাইরনমেন্টের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ চারটি মৌলিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে পরিবহন সমস্যা আর থাকবে না। গত ৭ নভেম্বর নগরীর হালিশহরস্থ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনের সিভিক সেন্টারে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবহনের মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুধী সমাজের সাথে আয়োজিত সচেতনতামুলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পুলিশ সভার আয়োজন করেন। তিনি আরো বলেন, শুধু রাস্তা বানালে হবে না। এসব রাস্তা সঠিকভাবে বানানো হচ্ছে কী না- তা দেখতে হবে। আইন প্রণয়ন করলে হবে না। এসব আইন সবাইকে জানাতে, সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। আইন না মানলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। টাকা খেয়ে ক্রুটিপূর্ণ গাড়ি ছেড়ে দেওয়া যাবে না। আমার এক ভাই মোটর শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আরেক ভাই পরিবহন মালিক। আমি যেহেতু পুলিশ কর্মকর্তা, আমাকে সিনেমার গল্পে যেমন মা আদালতের বিচারক হয়ে ছেলের বিচার করেন, সেভাবে কাজ করতে হয়। সিনেমার গল্পের মতোই পরিস্থিতি সামলে পরিবহনের লোকজনের বিচার করতে হয়। ডিআইজি আরো বলেন, আজকের এই সভার ম‚ল উদ্দেশ্য হচ্ছে- আপনাদের সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে জানানো। আইন মেনে গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ করা। আপনারা সবাই আইন জেনে, মেনে চললে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আসবেই। জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বিপিএম (বার) পিপিএম, (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী, আন্ত:জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ কফিল উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি জহুর আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মুছা, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক-কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, জেলা প্রাইম শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আন্ত:জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরী জাফর আহম্মেদ, চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির মহাসচিব আবু মোজাফফর। বিজ্ঞপ্তি