১০ জাতের ধানের নিবন্ধনও ছাড়করণ

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী ১০ নতুন হাইব্রিড জাতের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত দুইটি ইনব্রিড, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত একটি ইনব্রিড, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত একটি ইনব্রিড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছয়টি হাইব্রিড জাতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিসচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৬তম সভায় নতুন হাইব্রিড জাতগুলো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়।
এ সময় কৃষি সচিব বলেন, হাইব্রিডের ফলন বেশি। স্বল্প জমি থেকে বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এখন হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন এবং আবাদ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে ২১৮টি হাইব্রিড জাত নিবন্ধন পেয়েছে। এখন থেকে আরও মানসম্পন্ন ও দীর্ঘসময় ধরে কৃষককে লাভবান করবে, এমন জাত নিবন্ধনে গুরুত্ব দেওয়া হবে। খবর বার্তাসংস্থার
জানা যাচ্ছে, ব্রি উদ্ভাবিত ব্রিধান-১০১ ব্যাকটেরিয়াজনিত পোড়া রোগ প্রতিরোধী ও ব্রিধান-১০২ জিংকসমৃদ্ধ। ট্রায়ালে ব্রিধান-১০১ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৭২ টন, আর ব্রিধান-১০২ এর ফলন হেক্টরে ৮.১১ টন। ব্রিধান-১০২ এ জিংকের পরিমাণ ২৫.৫ মিলিগ্রাম/কেজি। এছাড়া বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান-২৫ ট্রায়ালে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৬৪ টন পাওয়া গেছে। এই চাল অতি লম্বা ও সরু, ভাত সাদা, ঝরঝরে ও সুস্বাদু। জীবনকাল ১৪৫ দিন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ব্র্যাক ধান-২ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৩৬ টন। এর দানা চিকন ও সুগন্ধিযুক্ত। এটি আগাম জাত। এর জীবনকাল ১৩৯ দিন। এছাড়া, বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৬টি হাইব্রিড ধানের ফলাফল পুনরায় পর্যালোচনা করে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বীজ) আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বীজ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।