প্রগতির এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) অধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন বাদি হয়ে একই কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দন্ডবিধির ৪০৯, ১০৯, ৪২০ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়। মামলায় অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে ২৯ লাখ ৬৭ হাজার সাতশ’ ২০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত জানান, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলায় অপরাপর যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কলাবাগান থানাধীন লেকসার্কাস উত্তর ধানমন্ডি রোডের নাছির উদ্দিন আহমেদের ছেলে ঠিকাদার ট্রেডিং টেলেন্টের স্বত্ত¡াধিকারী মো. রাহাত হাসান, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান কায়কোবাদ আল-মামুন, সাবেক বিপণন বিভাগীয় প্রধান মো. সাইদুর রহমান জামালী, সাবেক হিসাব বিভাগীয় প্রধান মো. রেজাউল করিম, ক্রয় বিভাগীয় প্রধান মো. ছিদ্দিকুর রহমান দেওয়ান, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হুমায়ুন কবির, প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) বিশ্বজিত চৌধুরী এবং সাবেক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. হায়াত মাহমুদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কার্যাদেশে জাপানে তৈরি পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানব্যতিত ৫৫ লাখ ৮৩ হাজার আটশ’ ৩০ টাকা মূল্যের পণ্য মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড থেকে সরবরাহ করে। পরস্পর যোগসাজশে এসব পণ্য প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রহণ করে। পাশাপাশি ২৯ লাখ ৬৭ হাজার সাতশ’ ২০ টাকার পণ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারের কাছ থেকে গ্রহণ না করেই মিথ্যা ও ভ‚য়া রিসিভ দেখিয়ে ও গুণগতমানের প্রত্যয়ন দিয়ে বিল ভাউচার সৃজনপূর্বক আত্মসাৎ করেছে।