হেফাজত নেতা নাছির উদ্দিন গ্রেপ্তার

48

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনিরকে গ্রেপ্তার করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় হাটহাজারী বাজারের ত্রিবেণী মিষ্টি ভান্ডার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম।
গ্রেপ্তারকৃত নাছির উদ্দিন মুনির উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামের সিকদার পাড়া এলাকার মাওলানা মনির আহমেদ এর ছেলে বলে জানা গেছে।
এছাড়া তিনি হেফাজত ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ২০ দলীয় জোটের শরীক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চট্টগ্রাম বিষয়ক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। তাছাড়া তিনি ২০১৪ হেফাজতের উপর ভর করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হাটহাজারীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছিলেন।পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে নাছির উদ্দিন মুনিরের নাম রয়েছে। এ ছাড়া হেফাজতের সাবেক আমির আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পিবিআই’র তদন্তেও তার নাম রয়েছে।
গত ২৬ মার্চ ঢাকার বায়তুল মোকারম মসজিদ এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজত দূর্গখ্যাত হাটহাজারীতে মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা থানা ভবন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস এবং ডাকবাংলোয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
উক্ত সহিংসতার ঘটনাসহ নাছির উদ্দিন মুনিরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সহিংসতার ঘটনা চার দিন পর ৩০ মার্চ রাতে হাটহাজারী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি ও ভূমি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুইটি এবং ডাকবাংলো কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের আরও চারটি মামলাসহ মোট ১০টি মামলা করে।
এসব মামলায় দুইটিতে হেফাজত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ১৪৯ জনকে সুনির্দিষ্ট এবং প্রায় সাড়ে ৬ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।