হামাসের যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো ইসরায়েল

9

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজ গাজা উপকূলে পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) জাহাজটি অবরুদ্ধ উপত্যকার উপকূলে পৌঁছায়। উপত্যকায় অনাহারের দুর্ভোগ থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা আরেকবার ব্যর্থ হয়েছে হামাসের প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওপেন আর্মস জাহাজটি সাইপ্রাস থেকে ২০০ টন খাবার নিয়ে গাজা উপকূলে শুক্রবার পৌঁছেছে। উপত্যকার সৈকত থেকে জাহাজটি খালি চোখে দেখা যাচ্ছে।
দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) ত্রাণ সরঞ্জামগুলো অস্থায়ী জেটিতে সরবরাহের আশা করছে। যদিও কীভাবে এগুলো ভূমিতে পৌঁছাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদি এই নতুন সমুদ্রপথ সফল হয় তাহলে তা হয়ত গাজায় অনাহারে থাকা মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব করতে পারে। ছয় মাসে গড়ানো ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ২৩ লাখের মানুষের বেশিরভাগ অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছেন। হাসপাতালগুলোতে অনাহারে শিশুদের মৃত্যুর ঘটছে। যদিও ত্রাণ সংস্থাগুলো বারবার বলে আসছে, সমুদ্র বা আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ গাজাবাসীর প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত হবে না। ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলায় এই দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হামলার জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি হামরায় ৩১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হামাস একটি পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে। এতে কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি।
তবে ইসরায়েল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান প্রমাণ করছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে এবং যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় পৌঁছানোর সব চেষ্টাকে নস্যাৎ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যাতে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রে।