হাটহাজারীতে ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পৌর এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের মাটিয়া মসজিদ এলাকায় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেল লাইনের পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার ওই যুবকের নাম মো. মুমিন। বয়স ১৯ বছর। তিনি পৌর এলাকার উত্তর মিরের খিল গ্রামের খন্দকার পাড়ার আবদুস শুক্কুরের পুত্র বলে জানা গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানা পুলিশ এ প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাস্থল থেকে উত্তেজিত জনতার রোষানল তথা গণপিটুনি খেয়ে ওই যুবক কোনমতে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে প্রায় ৪শ মিটার দূরে আব্বাসিয়ার পুল এলাকার পালিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় জনতা তাকে রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার রিদুয়ান মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, জনতার গণপিটুনিতে যুবকের মাথার বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই যুবক অনেকবার বমিও করেছে। গণপিটুনির শিকার হওয়া কোনো ব্যক্তি বমি করা মানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তৌহিদুল করিম এ প্রতিবেদককে জানান, রাত ১১টার দিকে পৌর এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের মাটিয়া মসজিদ এলাকায় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেল লাইনের পার্শ্বে ছেলে ধরা গুজব আতংক ছড়িয়ে মুমিন নামে এক যুকবকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমারা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপূর্বক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
