সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক যেন মরণ ফাঁদ

21

হারাধন কর্মকার, রাজস্থলী

রাজস্থলী-চন্দ্রঘোনা-বান্দরবান প্রধান সড়কের দুই পাশে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক এবং মোড়গুলো বিপদ জনক এবং যে হারে বাড়ছে গাড়ী সে হারে প্রশন্ত হয়নি সড়কটি। এতে করে দৈনিক ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগেই আছে। রাজস্থলী প্রধান সড়ক দিয়ে উপজেলা হয়ে ট্রানজিট সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় বিলাইছড়ি উপজেলার ফারোয়া বাজারে মালামাল রাজস্থলী-চন্দ্রঘোনা সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা মালামাল পরিবহনের সুবিধা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দৈনিক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিঁপাসুরা আসছে। অরণ্যে ঘেরা সবুজ পাহাড় দেখতে বেশ মনমুগ্ধকর। ভ্রমণ পিঁপাসুদের প্রতিনিয়তই কাছে টানে হাত বাড়িয়ে। সাপের মত আঁকা-বাঁকা পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়ক দেখতে দৃষ্টি জুড়ালেও সে পথে একটু অসাবধানতায় হতে পারে প্রাণ কেঁড়ে নেওয়ার কারণ। সাপের মত আঁকা-বাঁকা পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়ক গুলো। উঁচু-পাহাড়ের আঁকা-বাঁকে খেয়াল-খুশিমত গতি আর অসাবধানতা ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও। দ্রæতগামী মটর সাইকেল, বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রোবাস, অটো রিক্সাসহ যে কোন যানবাহন কেঁড়ে নিতে পারে স্কুল, কলেজ গামি ছাত্র-ছাত্রীর জীবন থেকে শুরু করে প্রিয় মানুষের জীবন। তাই সবুজ পাহাড়ের দৃষ্টি নন্দন সড়কে দুর্ঘটনা আর মৃত্যুর হাতছানি থেকে জীবন বাঁচাতে ঝুঁকিপূর্ণ বাকে সড়ক ও জনপদ (সওজ) কয়েক মাস আগে রাজস্থলী চন্দ্র্রঘোনা সড়কের রাস্তার দুই পাশে জঙ্গল গুলো কাঁটার উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলো। তাও উদ্যোগ টি ছিলো শুধুমাত্র লোক দেখানো ? কাজের কাজ কিছুই নেই। রাজস্থলী-চন্দ্রঘোনা সড়কের দুই পাশে জঙ্গল গুলো কাঁটার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে টার্নিং মোড়ের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত দেখা যায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হলে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে হাত বাড়িয়ে মৃত্যু প্রতিরোধে সহায়ক হলেও সড়ক প্রশস্ত ও ঝুঁকি এড়াতে বিপদজনক স্পর্টগুলোতে গতিরোধক নির্মাণের দাবী জানিয়েছে সচেতনমহল। এতে করে কমবে মৃত্যু ঝুঁকি, কমানো সম্ভব হবে বেপরোয়া গতির যানবাহন চলাচলের মাত্রা। সড়কে চলাচলকারী যাত্রী রুহুল আমিন ও পাইসানু মারমা বলেন, চালকদের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন। আবার কখনো ঝুঁকিপূর্ণ বাক এবং মোড়গুলোতে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি দেখা না যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান। টার্নিং মোড়ের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তের টার্নিং দেখতে স্থাপন করা প্রয়োজন (কনভেক্স মিরোর) উত্তল আয়না। এ বিষয়ে বাঙ্গালহালিয়া সিএনজি অটোরিক্সা চালক এসোসিয়োশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ তালুকদার বলেন, সড়কে যে হারে গাড়ি বেড়েছে সে হারে প্রশস্ত হয়নি সড়ক। এছাড়াও পর্যটন এলাকা হিসেবে বাহির থেকে আসা গাড়ির চালকদের সাবধানতা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গতিরোধক দেওয়াসহ টার্নিং মোড়ের ঝোপ-ঝাড় টানা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফীন বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সড়কের পাশের ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার করা হয়েছে বলে জানান। যা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
এছাড়াও জনজীবনে আরো এগিয়ে নিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সব সময় আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। রাজস্থলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ জানান, যানবাহনের তুলনায় রাজস্থলী-চন্দ্র্রঘোনা-বান্দরবান প্রধান সড়কে প্রসস্ত বৃদ্ধি করাটা জরুরি। বড় বড় ট্রাক গাড়ি গুলো রাস্তায় চলাচল করলে পাশে আর তেমন যায়গা থাকে না এতে করে রাস্তা সাপের মতো বাঁক গুলোতে দৈনিক ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগেই আছে। রাস্তার প্রসস্থ বৃদ্ধি করার প্রয়োজন বলে মনে করেন।