স্ত্রী হত্যা মামলায় আইনজীবী স্বামী কারাগারে

7

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ত্রী হত্যা মামলায় আনিসুল ইসলাম (৩২) নামে এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। আনিসুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি বাঁশখালী থানার উত্তর জলদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। স্ত্রী মাহমুদা খানম আঁখির বাড়িও একই এলাকায়।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, স্বামী-স্ত্রী চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা শওকত আবাসিকের মাসুদা খাতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ১৮ ডিসেম্বর যৌতুকের দাবিতে মাহমুদা খানম আঁখিকে মারধর করার অভিযোগ করা হয়। পরে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চমেক থেকে পুনরায় অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার সন্ধ্যায় আঁখি মারা যান। এরপরই পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় ওই আইনজীবীকে।
গতকাল সোমবার নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় দায়েরকৃত মামলায় স্বামী আনিসুল ইসলাম, স্বামীর মা ফরিদা আক্তার (৫০) ও স্বামীর বোন হামিদা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। মৃত মাহমুদা খানম আঁখি নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান চৌধুরী জানান, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে আনিসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় আইনজীবী আনিসুল ইসলামের ভাই জাহেদ জানান, ভাবি আর ভাইয়া প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। ভাবির বাবা মেনে নিলেও ভাবির মা ও ভাই বিয়ে মেনে নেননি। অপারেশন করার আগেও ভাবির বাবার সঙ্গে ভাইয়া ও ভাবির কথা হয়েছে। ভাবি অপারেশনের পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ভাবির মা ও ভাই মিলে আমার ভাইকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছেন।