সৌদিতে দুর্ঘটনায় নিহত দুই খালাতো ভাই মহেশখালীর

40

পূর্বদেশ ডেস্ক

সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ বাংলাদেশিসহ ২২ জন নিহত হয়েছেন। জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী বাসটি গভীর খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নয় বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহীদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, নোয়াখালীর মো. হেলাল, লক্ষীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ ও মোহাম্মদ শেফায়েত, গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি ও চাঁদপুরের রুকু মিয়া। খবর বাংলা ট্রিবিউন।
মহেশখালীর নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তারা দুজন সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই। আসিফ বড় মহেশখালীর পূর্ব ফকিরাঘোনা গ্রামের আহমদ উল্লাহর এবং শাফায়েত বড় ডেইল এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। তারা সৌদি আরবের আবহা ডিস্ট্রিক্টে কাজ করার সুবাদে কাছাকাছি থাকতেন। রোজায় ওমরাহ হজ করার জন্য দুজনেই মক্কার উদ্দেশে ছাড়া বড় বাসটিতে উঠেছিলেন। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজনই।
তাদের মৃত্যুর খবর বাড়ি পৌঁছা মাত্রই শুরু হয়েছে শোকের মাতম। নিহতদের লাশ সৌদির আল বাহা ডিস্ট্রিক্টের এক হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নিহতদের আত্মীয় নয়ন জানান, লাশ দেশে নিয়ে আসার বিষয়ে সে দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। দূতাবাসের সহায়তা ও পরামর্শক্রমে লাশ দেশে আনা হবে নাকি সে দেশে দাফন করা হবে এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের মৃত্যুতে বাড়ি ও ইউনিয়নজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় আরও ১৮ বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং বাকি ৯ জনকে এখনও খোঁজা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন গণমাধ্যমকে জানান, আহত ১৮ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া মোট মৃতের সংখ্যা ২২ জন বলে সৌদি আরব থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। একটি সূত্র জানায়, খাদে পড়ে যাওয়ার কারণে মৃতদেহগুলোর চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে সমস্যা হচ্ছে।