সোশ্যাল মিডিয়ার যত কথা

7

‘পদ্মাসেতু’ বাংলাদেশের
            আত্মমর্যাদার প্রতীক 

মুহাম্মদ এনামুল হক মিঠু

প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর ২৫ জুন ২০২২ শনিবার উদ্বোধন হল দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক এই সেতু উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতুর দুই পারে নানা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। এই সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে। জনপদের চালচিত্র বদলে দেবে বলেই একে বলা হচ্ছিল ‘স্বপ্নের সেতু’। পদ্মার দুই পার বাঁধল ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে জোড়া লাগল রাজধানী।
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে, যদিও শুরুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল এই সেতুতে। কিন্তু দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করে। শ্রেণিবিশেষ জল ঘোলা করতে উঠেপড়ে লাগে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের টাকায় এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের সেই অভিযোগ তোলার পেছনে যে একটি ষড়যন্ত্র ছিল, তা বিভিন্ন সময় বলে আসছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ার পরও সংশয় ছিল অনেকের মনে। এই সেতুকে এখন বাংলাদেশের ‘সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক এবং অপমানের প্রতিশোধ’ হিসেবে তুলে ধরছেন শেখ হাসিনা। গত বুধবার গণভবন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে পারে’ পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৫ সালে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণযজ্ঞ শুরু হলেও তার পরিকল্পনা আরো আগের।
পদ্মা সেতু চালু হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিশেষ করে দক্ষিণ বাংলার অর্থনীতিতে পড়বে ব্যাপক প্রভাব। দীর্ঘদিন পর সড়ক ও রেল- দুই পথেই দক্ষিণ বাংলার মানুষ অল্প সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে। এর ফলে এই প্রথমবারের মতো পুরো দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোতে চলে আসবে। দক্ষিণ বাংলার গ্রামেও পরিবর্তনের হাওয়া লাগবে। ২১টি জেলার কৃষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভোক্তার সমাবেশ যে রাজধানী ঢাকা তার সঙ্গে অনায়াসে সংযুক্ত হতে পারবে। অন্যদিকে তারা রাজধানী থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে পারবে তাদের গ্রামের ও আশপাশের এসএমই উদ্যোগগুলোর জন্য। দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উৎপাদন, সেবা, পর্যটন, শিল্প-বাণিজ্যেও বিনিয়োগ বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান। ২১ জেলায় মানুষের আয়-রোজগার ও জীবনের মান বাড়ার প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতে পড়বে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের জিডিপি অন্তত ৩.৫ শতাংশ বাড়বে। আর দেশের জিডিপি বাড়বে অন্তত আরো ১.২৬ শতাংশ। ট্রান্স-এশিয়ান রেল ও সড়ক এই সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে। শুরুতে ২৪ হাজার যান চলাচল করবে এই সেতু দিয়ে। প্রতিবছর তা বাড়বে। এডিবি বলছে, ২০৫০ সালে ৬৭ হাজার যান চলাচল করবে এই সেতু দিয়ে। জরিপে আরো বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যেই পাঁচ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুবিধা পাবে এই সেতুর কল্যাণে। দক্ষিণাঞ্চলের দারিদ্র্য প্রতিবছর ১ শতাংশেরও বেশি হারে কমবে। অর্থাৎ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে আমাদের যাত্রা আরো ত্বরান্বিত হবে এবং এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এটাই সর্বস্তরের প্রত্যাশা।

  পদ্মাসেতুর উদ্বোধন
কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম
২৫ জুন পদ্মা নদীর উপর নির্মিত ‘পদ্মাসেতু’ উদ্বোধন হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ জন্য সেতুর পাশে উদ্বোধনমঞ্চসহ জনসভাস্থলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু পদ্মার দু’পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব করবে। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এখন পদ্মাসেতু ঠাঁই দাঁড়িয়ে পদ্মার বুকে। দেশের একটি বড় অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে পদ্মাসেতুকে। কেননা এতবড় প্রকৌশলীয় কর্মযজ্ঞ এর আগে এদেশে হয়নি। আমরা অনেকেই অনেক কথা বলছি। যে যাই বলুক দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য এধরনের উন্নয়নের সাথে যারাই জড়িত থাকুক লাভ কিন্তু সাধারণ মানুষের। পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ কিংবা স্বার্থপরতা পরিহার করে জনগণের জন্যই রাজনীতি করা উচিত। কে কী বলছে, কে কী করছে- এসব ভাবলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। সবাই তো আর সবকিছু পারেনা। রাজনৈতিক কারণে অনেকেই অনেক কথা বলেন, করেন। এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সমস্যা কমবেনা। যে যেটা করেছে সেটা মানুষ দেখবে, মূল্যায়ন করবে। আমরা মনে করি জনগণ কিছুই দেখেনা। আসলে তারা ঠিকই দেখে। মূলত: স্বাধীনতার পর দেশের উন্নয়নে যারাই অবদান রেখেছেন তাদের সে অবদানের কথা কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। দলীয় মনোভাবের চেয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভাবাই হোক রাজনীতিবিদদের মূল লক্ষ্য। দেশের বৃহৎ স্থাপনা পদ্মাসেতুর জন্য যারা শ্রম দিয়েছেন, দিনরাত খেটেছেন সবাই নিঃসন্দেহে গর্বিত। পদ্মাসেতু তৈরী ও মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি মানুষ মন থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে বলে মনে করি। টিভিতে অনেকবার দেখেছি পদ্মা পাড়ি দিতে কত ঘণ্টা, কত সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে মানুষকে। কত দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে কত মানুষের! অপেক্ষার পর অপেক্ষা করেও যেতে না পেরে অনেককেই ফেরত যেতে হয়েছে। এখন এসব দুঃসহ সময়ের অবসান ঘটবে বলে সেই এলাকার মানুষের মনে নিশ্চিত আনন্দ বিরাজ করছে। মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন পদ্মা পাড়ি দিয়ে ওপারে যাবে, নির্বিঘেœ কাজ শেষ করে আবার দিনেদিনেই বাড়ি ফিরবে। বিশেষ করে পদ্মা পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্যোগের সময়ের কষ্টের কথা ভুক্তভোগী মানুষ কখনোই ভুলতে পারবেনা।
পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের দিন সারাদেশেই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারাদেশের প্রতি জেলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও আমি মনে করি, দেশের জন্য পদ্মাসেতুর উদ্বোধন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। যদিও এসময় সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের একটি বড় অংশ বন্যাকবলিত। যেখানে মানুষের দুখ, দুর্দশার শেষ নেই। সেখানে অবশ্য সরকার ও নানা রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং পরিচিত ব্যক্তিবর্গ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পদ্মাসেতুর উদ্বোধন, আয়োজনের পাশাপাশি বন্যাকবলিত সাধারণ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। যদিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনের সময় নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছেন।
দেশের জন্য পদ্মাসেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি মানুষের কষ্ট লাঘবের পাশাপাশি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজীকরণ করবে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় করবে। সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ পদ্মাসেতুর দিন ও রাতের আলোকোজ্জ্বল দৃশ্য দেখতে পদ্মার পাড়ে ভিড় করবে। সেতুর নান্দনিক সৌন্দর্য ও নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ হবে তারা। নিজেদের অর্থে নির্মিত পদ্মাসেতুর উদ্বোধন দেশের যোগাযোগব্যবস্থার সমৃদ্ধিতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের একটি লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে এটাই সবচেয়ে বড়কথা।

স্বপ্নের পদ্মাসেতু

অর্পন চক্রবর্ত্তী

‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’। কিসের স্বপ্ন? কার স্বপ্ন? ১৯৭১ সালে একসাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যখন মাত্র সাড়ে তিনবছরের মাথায় স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ভূলন্টিত করা হয়, তখন স্বাধীনতার স্বাদ ও স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। দেশের মানুষ স্বপ্নবানে ভাসে কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের যাদুরকাঠি ছিলনা ভিশন ও মিশনহীন কোন শাসকের কাছে। তারা শাসন ক্ষমতা জগদ্দখল করে শোষন করেছে এ দেশের মানুষকে। ধর্মের নামে গোঁড়ামি, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাÐ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, হাওয়া ভবন, এক এগারো ইত্যাদি সৃষ্টি করে এদেশকে পেছনের দিকে টেনে নিয়েছে। দীর্ঘ একুশ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে প্রথম আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এসময় দেশকে আবারও মুক্তিযদ্ধের চেতনায় এবং উন্নয়নের মহাসড়কে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৯৮ সালে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু। ঠিক ওই সময়ই তিনি পদ্মা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হয়। এর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে ২০০১ এ ক্ষমতায় আসতে না পারলেও তিনি আশাহত হননি অপেক্ষা করেছেন। পরবর্তিতে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলে পদ্মা সেতু আবারো আলোচনায় উঠে আসে। বিশাল বাজেটের এই সেতু নির্মাণে বড় ধাক্কাটি আসে ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক এইপ্রকল্প থকে সরে আসার ঘোষণার মাধ্যমে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সকল দেশি বিদেশি চক্রান্তকে নস্যাৎ করে বৃহৎ একটি প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দিয়ে শুধুমাত্র দেশের ১৮ কোটি মানুষকে নয় পুরো বিশ্ববাসীকেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো । ২০১৪ সালে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে সেতুর পিলারের উপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয় এবং ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩তম পিলারে ৪১তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। এই সেতু নির্মাণে মোট খরচের পরিমান ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। সেতুর সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো, নদী শাসন, ভূমি অধিগ্রহন সহ ইত্যাদি এই খরচরে অন্তর্ভুক্ত। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের জিডিপি বাড়বে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।
পদ্মা সেতু গড়ে তোলার আগে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো ফেরী এবং নৌ পারাপার। বৈরী পরস্থিতিতে ফেরী এবং নৌ পারাপারে অনেক মানুষের প্রাণ হারাতে হয়েছিলো, এম্বুলেন্স করে অনেক গুরুতর রোগী সময়মত ফেরী পার হতে না পেরে নিশ্চিত মৃত্যুতে ঝুঁকে পরতে হয়েছিলো, সময়মত পৌঁছাতে না পেরে নষ্ট হতে হয়েছে অনেক পচনশীল পন্য। বর্তমানে এই সেতু বাস্তবায়িত হলে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে এই সেতু বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক আবেগঘন মুহূর্তে স্বপ্ন এবং আবেগের এই সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। বক্তব্য রেখেছেন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরা এই দুই প্রান্তেই। পদ্মার পাড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এক জমকালো ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছেন। আবেগে কান্না করেছেন উদ্বোধনে উপস্থিত থাকা হাজারো মানুষ যারা আগের দিন থেকেই নাওয়া খাওয়া ছাড়া, দূরদূরান্ত থেকে উপস্থিত হয়েছেন পদ্মার দুই প্রান্তে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময়ের সাথে মিলিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীতে আই.সি.সি. কনভনেশন হলে পদ্মা সেতু উদ্বোধন বিরাট পর্দায় সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে হাজারো চট্টগ্রামবাসীকে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।