সোনার বাংলা নির্মাণে জনসংখ্যা হোক জনশক্তি

55

মুহাম্মদ এনামুল হক মিঠু

বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটির কাছাকাছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, গত ৪০ বছরে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। বহুল জনসংখ্যার এই পরিস্হিতিতে দেশে যে, সামগ্রিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তা মহাদুর্গতির চেয়েও কোন অংশেই কম নয়। অপরিকল্পিতভাবে ক্রমবর্ধমান এ জনসংখ্যার চাপ দেশের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত ১৫ বছরে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্বির হার শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও সার্বিক বিবেচনায় এ সফলতা ব্যথতায় পর্যবসিত হতে চলেছে।এর কারণ বেশ কয়েকবছর জনসংখ্যা বিষয়ক কর্মসূচি গুলো আর আগের মত কার্যকর হচ্ছে না। ফলে পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে প্রায় ২৫০টি শিশু জন্ম নিলেও বাংলাদেশে প্রায় ৯টি শিশু জন্মগ্রহণ করে ১৯৭১সালে সাড়ে ৭ কোটি মানুষসহ স্বাধীন হওয়া দেশের ৫০ বছর না পেরোতেই জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটিতে জনসংখ্যায় বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ আমাদের বাংলাদেশ, যদিও আয়তনে বিশ্বে আমরা ৯৪তম। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে জনসংখ্যার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। একদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য জনশক্তি দেশের জনগণ থেকেই আসে,অপরদিকে জনসংখ্যার অনভিপেত আধিক্য ঘটলে তা দেশের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই জনসংখ্যা কখনও আশীর্বাদ আবার কখনও অভিশাপ হিসেবে দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। জনসংখ্যা দ্রæত বৃদ্ধির ফলে খাদ্য সমস্যা, বেকার সমস্যা, ভিক্ষাবৃত্তি, দুর্নীতি, চুরি-ছিনতাই, প্রতারণা, সন্ত্রাস ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়।
জনসংখ্যা সমস্যাকে বাংলাদেশের এক নম্বর সামাজিক সমস্যা বলা হয়ে থাকে । এর কারণ বিপুলসংখ্যক মানুষকে আমরা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন। চীনারা তাদের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করেছে। ফলে চীন আজ বিশ্বের পরাক্রমশালী দেশগুলোর একটি। আমাদেরও জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। গুরুত্ব দেয়া উচিত কর্মমুখী শিক্ষার ওপর। সে ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে কারিগরি শিক্ষায়।
এ দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটেনি বললেই চলে। নতুন কোনো কারিগরি প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে যেমন হচ্ছে না, তেমিন বেসরকারি উদ্যোগেও গড়ে উঠছে না। দেশে-বিদেশে প্রচুর চাহিদা থাকা সত্তে¡ও এই সেক্টরের প্রতি নজর নেই কারও। বিদেশে প্রশিক্ষিত নার্স ও নার্সিংয়ের ওপর ডিপ্লোমা কিংবা উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের প্রচুর চাহিদা। এ বিষয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে হবে। জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলাই মূল সমস্যার সমাধান নয়। আজ জনসংখ্যা কমিয়ে ফেললে এক সময় তা আবারও বেড়ে উঠবে। তাই জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এমন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে এবং এমন কিছু প্রকল্প উদ্ভাবন করতে হবে, যেগুলোর মাধ্যমে জনসংখ্যাকে পরিণত করা যাবে জনশক্তিতে। এর জন্য বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, পরিকল্পনাবিদদের একত্রে কাজ করতে হবে। সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা এবং যুগোপযোগী পদক্ষেপই পারে একটি দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে। আর এর মাধ্যমেই গড়ে উঠবে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটির কাছাকাছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, গত ৪০ বছরে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। বহুল জনসংখ্যার এই পরিস্হিতিতে দেশে যে,সামগ্রিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে,তা মহাদুর্গতির চেয়েও কোন অংশেই কম নয়। অপরিকল্পিতভাবে ক্রমবর্ধমান এ জনসংখ্যার চাপ দেশের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত ১৫ বছরে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্বির হার শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও সার্বিক বিবেচনায় এ সফলতা ব্যথতায় পর্যবসিত হতে চলেছে। এর কারণ বেশ কয়েকবছর জনসংখ্যা বিষয়ক কর্মসূচি গুলো আর আগের মত কার্যকর হচ্ছে না।ফলে পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে প্রায় ২৫০টি শিশু জন্ম নিলেও বাংলাদেশে প্রায় ৯টি শিশু জন্মগ্রহণ করে ১৯৭১সালে সাড়ে ৭ কোটি মানুষসহ স্বাধীন হওয়া দেশের ৫০ বছর না পেরোতেই জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটিতে জনসংখ্যায় বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ আমাদের বাংলাদেশ, যদিও আয়তনে বিশ্বে আমরা ৯৪তম।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে জনসংখ্যার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। একদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য জনশক্তি দেশের জনগণ থেকেই আসে,অপরদিকে জনসংখ্যার অনভিনেত আধিক্য ঘটলে তা দেশের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই জনসংখ্যা কখনও আশীর্বাদ আবার কখনও অভিশাপ হিসেবে দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে।জনসংখ্যা দ্রæত বৃদ্ধির ফলে খাদ্য সমস্যা, বেকার সমস্যা, ভিক্ষাবৃত্তি, দুর্নীতি, চুরি-ছিনতাই, প্রতারণা, সন্ত্রাস ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়।
জনসংখ্যা সমস্যাকে বাংলাদেশের এক নম্বর সামাজিক সমস্যা বলা হয়ে থাকে । এর কারণ বিপুলসংখ্যক মানুষকে আমরা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন। চীনারা তাদের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করেছে। ফলে চীন আজ বিশ্বের পরাক্রমশালী দেশগুলোর একটি। আমাদেরও জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। গুরুত্ব দেয়া উচিত কর্মমুখী শিক্ষার ওপর। সে ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে কারিগরি শিক্ষায়।
এ দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটেনি বললেই চলে। নতুন কোনো কারিগরি প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে যেমন হচ্ছে না, তেমিন বেসরকারি উদ্যোগেও গড়ে উঠছে না। দেশে-বিদেশে প্রচুর চাহিদা থাকা সত্তে¡ও এই সেক্টরের প্রতি নজর নেই কারও। বিদেশে প্রশিক্ষিত নার্স ও নার্সিংয়ের ওপর ডিপ্লোমা কিংবা উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের প্রচুর চাহিদা। এ বিষয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে হবে।
জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলাই মূল সমস্যার সমাধান নয়। আজ জনসংখ্যা কমিয়ে ফেললে এক সময় তা আবারও বেড়ে উঠবে। তাই জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এমন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে এবং এমন কিছু প্রকল্প উদ্ভাবন করতে হবে, যেগুলোর মাধ্যমে জনসংখ্যাকে পরিণত করা যাবে জনশক্তিতে। এর জন্য বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, পরিকল্পনাবিদদের একত্রে কাজ করতে হবে। সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা এবং যুগোপযোগী পদক্ষেপই পারে একটি দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে। আর এর মাধ্যমেই গড়ে উঠবে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

লেখক : প্রাবন্ধিক