সীতাকুন্ডে অবৈধ কালো তেলের ডিপোতে আগুন

42

সীতাকুন্ডে অবৈধ কালো তেলের ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ডিপো সংলগ্ন তিন শিশু শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় পাঁচশ পরিবার ও তাদের সম্পদ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ভাটিয়ারি ইউনিয়নের সালেহ কার্পেট এলাকায় সালাম চৌধুরীর ডিপোতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ তেলের ডিপোর কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান এবং তাদের ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা যায়, ভাটিয়ারি ইউনিয়ন সালেহ্ কার্পেট ঘনবসতি এলাকায় স্থানীয় সালাম চৌধুরী প্রায় বিশ ফুট উচ্চতার টিনের ঘেরা দিয়ে এবং পঞ্চাশ ফুট উপরে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার চুঙ্গি বসিয়ে কালো তেলের কারখানা গড়ে তোলেন। প্রতি রাতে এই ডিপোতে পুরাতন জাহাজের ফেলে দেওয়া তেলগুলো এনে রাতভর মেডিসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রিপারিং করে। আর এ ডিপোর বিষাক্ত ধোয়ায় আশ-পাশের এলাকাবাসী ও শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্তান্ত হচ্ছে। গতকাল ভোরে তেল রিপারিং করার সময় আগুন লেগে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আতংকিত হয়ে পড়েন। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে স্থানীয় প্রায় পাঁচশ পরিবার প্রাণে রক্ষা পায়। ঘনবসতি এলাকায় বিপদজনক এই কালো তেলের ডিপোর বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর প্রশাসন সিলগালা করে দেয়। কিন্তু মাস না পেরোতেই এই অবৈধ কালো তেলের ডিপো আবার শুরু হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপো সংলগ্ন রেনুয়ারা বেগম বলেন, প্রশাসন এসে কয়েকবার এই অবৈধ ডিপো বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কেন আবার শুরু হয় আমরা জানি না। ডিপোর পাশে বাড়ি হওয়ায় আমরা সারাক্ষণ আতংকে থাকি। বিষাক্ত ধোঁয়ায় আমরা ভাইয়ের তিন ছেলে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা এই অবৈধ ডিপোর স্থায়ী উচ্ছেদ পরবর্তী বন্ধ চাই।’
সীতাকুন্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ায় ডিপোর আশপাশের প্রায় পাঁচশ পরিবারকে রক্ষা করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, ‘আমি শুনেছি এর আগেও ডিপোটি বন্ধ করেছিল প্রশাসন। আগুনের বিষয়টি আমি শুনেছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’