সীতাকুন্ডের সৈয়দপুর ইউপি স্কুল ও মসজিদ সড়কের বেহাল দশা

12

সীতাকুন্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের স্কুল ও মসজিদ সড়কের বেহাল দশা। এ সড়কটি বেহাল দশার কারণে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার জনসাধারণ। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো কৃষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও মসজিদের মুসল্লীসহ নানার্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন। বর্ষা মৌসুম আসলে আরো বেড়ে যায় ভোগান্তি। সামান্য বৃষ্টি হলে পুরোনো ইট গুলো থেকে মাটি সরে গিয়ে ইট গুলো উচুঁ হয়ে থাকে যার কারণে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের। ফলে বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কাঁদায় একাকার হয়ে থাকে। যার ফলে সড়কটিতে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় সড়কের এ বেহাল দশা চললেও সংশ্লিষ্ট কেউ দেখেও না দেখার মত হওয়ায় সড়কটির উন্নয়ন হচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক দুইশ ফুট উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ পাশের রমজান আলী কামলা জামে মসজিদ হয়ে শিবপুর ও সৈয়দপুর সংযোগ ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১৫৫০ মিটার পুরো সড়কই খানা-খন্দে ভরা। যেখানে মানুষ দিনের বেলা হাঁটতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। পূর্ব সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এ সড়কের এত বাজে অবস্থা যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসার সময় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। স্কুলের কৌমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে এ সড়কটি মেরামত জরুরি বলে তিনি মনে করেন। স্থানীয় যুবক জহিরুল আলম জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কটির অবস্থা এতই নাজুক যে কেউ অসুস্থ হলে এ সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে। একইভাবে সড়কের এই দুর অবস্থা দেখে কোন গাড়ি চালকও এ সড়কে গাড়ি চালাতে চান না। পূর্ব সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র মো. রিজবি আমিন জানান, এ সড়ক দিয়ে আমরা স্কুলে যেতে খুব অসুবিধা হয় তাই দ্রæত এ সড়কটি নির্মাণ করার জন্য সবকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি। অন্যদিকে মাদীপুকুর পাড় সড়ক, যেখানে রয়েছে ৪ মহল্লা বাসীর কবরস্থান। পলোয়ান পাড়া সড়ক থেকে মাদী পুকুর পাড় কবরস্তান হয়ে ফকির সওদাগরের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার সড়কের একি অবস্থা। উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যে অধিকাংশ সড়ক ব্রিকস্ সলিন, কার্পেটিং ও পিচ করা হয়েছে। কয়েকটি সড়কের ব্রিকস্ উঠে গিয়েছে। তারমধ্যে পূর্ব সৈয়দপুর স্কুল সড়কটিও রয়েছে। আমরা খুব দ্রুত বাজেট প্রস্তাবনা শেষে এ সড়কটির মেরামত কাজ শুরু করতে পারবো।