সিএএ বিরোধীদের আসামি করে দিল্লির দাঙ্গার অভিযোগপত্র দাখিল

38

দিল্লির ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনায় ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এদের সবাই ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ১৭ হাজার পৃষ্ঠার ওই বিশাল অভিযোগপত্রে সিএএ’র পক্ষে প্রচার চালানো একজনকেও আসামি করা হয়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ভারতে কার্যকর হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনটিকে (সিএএ) বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে ভারতজুড়ে যখন তীব্র বিক্ষোভ চলছিল, ঠিক সেই সময় রাজধানীতে ওই আইনের সমর্থনে মিছিল বের করে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন কপিল মিশ্র। মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে কপিল দাবি করেন এটি ‘শান্তি মিছিল।’ ওই মিছিলেই নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাও। পার্লামেন্টে জিততে পারলে রাস্তায় জিততে পারব না?’ এরপরেই দিল্লিতে শুরু হয় হিন্দুত্ববাদীদের তান্ডব। টানা কয়েক দিনের তাÐবে বহু মুসলিম নাগরিক নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়। ধ্বংস হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
তবে ওই দাঙ্গার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দায়বদ্ধ দিল্লি পুলিশ যে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে তাতে আসামি করা হয়েছেন কেবল ওই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আম আদমি পার্টির বহিস্কৃত কাউন্সিলর তাহির হুসেন এবং বেশ কয়েক জন স্টুডেন্ট অ্যাকটিভিস্ট। তবে পুলিশ বলছে, তাদের তদন্ত এখনও চলছে আর এখন পর্যন্ত যাদের নাম আসেনি তাদেরকে অভিযুক্ত করে সম্পুরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি দাঙ্গা এলাকা সিলমপুর ও জাফরাবাদে সহিংসতার নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। পুলিশ বলছে, ‘এসব ষড়যন্ত্রকারীরা মাঠ পর্যায়ের দাঙ্গাকারীদের (ফুট সোলজারস) সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছে এবং তার ফলেই ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়।’