সফল মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের জন্মদিনে অভিবাদন

34

সুরেশ কুমার দাশ

বাংলায় ব্রতচারী আন্দোলন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক সমুজ্জ্বল অধ্যায়। ব্রতাচারের লক্ষ্য ছিল ষোল আনা বাঙালি হওয়া। বিশ্ব মানব হওয়া, শ্বাশত বাঙালি হওয়া। ব্রত মানে প্রার্থনা, সংযম ইত্যাদি। সেই ১৯৩২ সালের পর রাজনৈতিক ব্রতের কথা শুনা যায় তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে। নিজের জন্য যেমন তেমনি তরুণদের জন্য তিনি প্রায়ই বলেন, রাজনীতি হচ্ছে ‘ব্রত’। একজন রাজনীতিবিদকে রাজনীতিকে ব্রত হিসাবে নিতে হয়। তাহলে রাজনীতি জনগণ, দেশ ও সংস্কৃতির জন্য হয়। ব্রত হচ্ছে আত্মসংযমের একটি পথ। ১৯৩২ সালে এই ব্রতাচারের অনেক কিছু নির্দেশনা ছিল দেশপ্রেমিক গুরু সদয় দত্তের পক্ষ থেকে। প্রায় একশ বছরের ব্যবধানে সময় অনেক বদলে গেছে। সেই ব্রিটিশ বেনিয়ারা চলে গেছে। ভারত ভেঙ্গে দুটি দেশ হয়েছে। দুটি দেশের একটি ছিল পাকিস্তান। এর পর একটা ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পূর্ব বাংলা প্রায় ২৩ বছর অতিক্রম করে। এই ২৩ বছরের ফলাফল ছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মহাকাব্িযক স্বাধীন বাংলাদেশ।
ড. হাছান মাহমুদের জন্ম ১৯৬৩ সালের ৫ জুন। ৬৩ থেকে একাত্তর, একাত্তর থেকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। বাঙালির জন্য ১৫ আগস্ট দিনটি চরম ট্র্যাজিডির মর্মবিদারি একটি দিন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তাদের পরিবারের প্রায় সবাইকে হারানোর দিনই নয়। বাঙালি জাতির সব পেয়ে যেন সব হারানোর দিনও ছিল। ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ কেমন ছিল, সেই চিত্র ইতিহাসে লেখা আছে। যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছিল নিষিদ্ধ প্রায়। আওয়ামী লীগের রাজনীতি যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। পাকিস্তানপন্থীরা যখন হাজার বছরের বাঙালির সাধনার মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তিকে গলা টিপে হত্যার ব্যবস্থা করেছিল। সেই সময়ে একটি প্রজন্মের কিছু ছেলেমেয়ে- তবু সমস্ত প্রতিকূলতাকে আলিঙ্গন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিকে সঙ্গী করেছিলেন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে। ৭৫ পরবর্তি সেই লড়াই সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শবাদীদের জন্য আর একটি ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ছিল। তখনকার সেই রাজনীতির ধাপ- ছাত্রলীগ, যুবলীগ সে সময় ছিল অসম লড়াইয়ের মুখোমুখি। মুক্তিযুদ্ধের পর আরেক পাকিস্তানী অপশক্তিকে মোকাবেলা করার চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীন বাংলাদেশে সেই অমানিশারকালে স্কুলজীবনে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন ড. হাছান মাহমুদ। তার মত আরও অনেক তরুণ। ড. হাছান মাহমুদ নন, জীবনবাজি রেখে সেই অসম লড়াইয়ের তরুণরাই আজও আওয়ামী লীগের ব্রতচারী রাজনীতিক। তাদের সংগ্রামই বাংলাদেশের আজকের রাজনীতির পথ সৃষ্টি করেছিল। যা বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহসিকতা আর আদর্শই তার প্রাণশক্তি ছিল। মুজিবের অতুলনীয় দেশপ্রেমের আদর্শে লড়েছিলেন তারা। যাদের স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা ছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ঘিরে। মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে এমন প্রতিক‚ল সময়কে আলিঙ্গন করে যাবতীয় নিপীড়ন, নির্যাতন, জেল-জুলুম ইত্যাদি সহ্য করেছিল। অথবা জীবন বলি দিতে হয়েছে অনেককে। এই রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা শৈশবে কিভাবে লালন করেছিলেন হাছান মাহমুদ সহ অন্য তরুণ ছাত্ররা। যখন রাজনীতি আজকের মত ‘রঙিন স্বপ্নের’ ছিল না। ছিল ঝুঁকি এবং হানাহানির কাল। ৭৫ পরবর্তি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ মানে এমন নিয়তিই। অথচ তখন হাছান মাহমুদ ছিলেন দশ জনের মত সাধারণ ছাত্র। দেশের এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেই জন্ম ও বেড়ে উঠা। পরিবারের বড় সন্তান হয়েও তিনি এই কঠিন কণ্টকাকীর্ণ সময় আলিঙ্গন করে নিয়েছিলেন। তার পিতা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন ঠিকই কিন্তু তার মনে বাসা বেঁধেছিল বিপ্লবী হবার। অথচ তখন প্রতিবিপ্লবের হাতছানি ছিল। এই বিপ্লব-প্রতিবিপ্লবের সময়ের পার্থক্য নির্ণয় করে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বুকে নিয়ে পথ চলতে শুরু করেছিলেন। ব্যক্তি মানুষকে তার স্বাধীন সত্তাই টেনে নিয়ে যায়। এই স্বাধীন ইচ্ছাটা তিনি তার পুত্রবৎসল, স্নেহশীল পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের কঠোর শাসন থেকেই অর্জন করেছিলেন হয়ত। আর মুক্তিযুদ্ধের সময়টা তিনি দেখেছেন তাদের পরিবারের ভেতর থেকেই। যখন তাদের ঘরবাড়ি ছিল মুক্তিযোদ্ধা আর যুদ্ধ আক্রান্ত মানুষদের আশ্রয়স্থল। তাদের পরিবারেই ঠাঁই পেয়েছিল আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও পাড়াপ্রতিবেশিরা। হয়ত তখনই তিনি শক্তি আর অপশক্তির লড়াইকে চিহ্নিত করেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ব্রতে দীক্ষা নিয়েছিলেন। আর স্কুল জীবন থেকে প্রত্যক্ষভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন। এক এক করে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসা। মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনসহ- সেই অনেক পথ।
ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে সব্বোর্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হবার পরও তিনি তার একাডেমিক ক্যারিয়ারকে ছেদ পড়তে দেননি। আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যান বিদেশে। ফিরে এসে এক হাতে রাজনীতি আর রুটি রুজির জন্য শিক্ষকতায় যুক্ত হন। ২১ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বর্বর, পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির মধ্যেও তিনি রাজনীতির ময়দান ছেড়ে আসেননি। রাজনীতির সেই লড়াই-সংগ্রাম পেরিয়ে তিনি আজ বাংলাদেশের একজন ভিশনারি লিডারে পরিণত হয়েছেন। দেশ ও জনগণের জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জন্য অবিরত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ছুটে চলেছেন। কর্তব্যনিষ্ঠা, পরিশ্রম, কর্মপ্রতিভা একজন মানুষকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে, তারই প্রমাণ হচ্ছে আজকের আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সরকারের তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। যার চিন্তাচেতনা তাকে আধুনিক ও মার্জিত রাজনীতিবিদ হিসাবে সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সরকারের প্রধান কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম তিনি। দুই বছরের বেশি বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে, নিজে দু’দুই বার করোনা আক্রান্ত হয়ে, জীবনের ঝুঁকি থাকার পরও সরকারের তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মুখপাত্র হিসাবে সরকার ও দলের নীতি নির্ধারণী কার্যক্রমে অনবদ্য ছিলেন তিনি। এমন কঠিন দিনগুলোতে তিনি প্রতিদিন দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সরকারের নানা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জনগণকে অবহিত করে গেছেন। দলের মুখপাত্র হিসাবে বিরোধীপক্ষকে সামাল দিয়ে প্রশংসনীয় অবদান রাখেন। মহামারির ভয়কে তুচ্ছ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বিপর্যস্ত, কর্মহীন মানুষকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা করেছেন। একই সময়ের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ উদযাপন (মুজিব শতবর্ষ) ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উদযাপনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র জীবনে তুখোড় মেধাবী ড. হাছান ১৯৯০ সালে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের চাকসু (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময় তার সুদক্ষ নেতৃত্বে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে তাদের ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছিল। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। কঠোর পরিশ্রমে তিনি নিজকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। তারই ফলস্বরূপ ২০০১ সালের আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হবার পর পর্যায়ক্রমে তিনি মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটিতে সামনের সারিতে জায়গা করে নেন।
২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সেনা ব্যাকআপের সরকার কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়, তখন ড. হাছান মাহমুদ অনন্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে কারাগারে থাকা দলীয় সভাপতির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। যা দলের মদ্যে সকল পর্যায়ে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়। শেখ হাসিনার মুক্তি প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করেছিল। আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের পর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে তিনি সুনিপুণভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সেই সাথে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী হিসাবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিচক্ষণতার সাথে পালন করছেন।
তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবনের ঐতিহাসিক একটি মাইলফলক হচ্ছে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিনি বিএনপির তৎকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য, মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদÐে দÐিত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করেন। চিরতরে রাঙ্গুনিয়ার সংসদীয় আসনটি যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের কবল থেকে উদ্ধার করে তিনি প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মাধ্যমে তিনি রাঙ্গুনিয়ার মর্যাদাকে সমুন্নত করেন। দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাঙালি সংস্কৃতির মূল্যবোধের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ও বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের আদলে ‘জনকল্যাণমূলক (ওয়েলফেয়ার স্টেট) বাংলাদেশ’ গঠনের প্রবক্তা ড. হাছান মাহমুদ ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে রচিত সংবিধান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের রাজনৈতিক ব্রত একনিষ্ঠভাবে পালন করছেন। মূলত একজন ভিশনারি রাজনীতিবিদ হিসাবে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা ও আধুনিক চিন্তাভাবনায় দেশে তিনি একজন অন্যতম রাজনীতিবিদ হিসাবে নিজকে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন। একজন নেতা হিসাবে তিনি তৃণমূল থেকে সর্বস্তরের নেতা-কর্মিদের কাছে সমান জনপ্রিয়। যিনি নেতাকর্মিদের ত্যাগ ও পরিশ্রমকে সর্বাগ্রে মূল্যায়ন করেন। একইভাবে তার সংসদীয় এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদকে সমুজ্জল করে তুলেছেন। বিশেষ করে দলীয় মুখপাত্র হিসাবে তার কার্যক্রম দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে ব্যাপক প্রশংসিত এবং নির্ভরযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। চট্টগ্রামের কোনো রাজনীতিবিদ আজ অবধি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় রাজনীতিতে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হননি। সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তার এই অগ্রযাত্রা তাকে দলে আরো শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া এবং চট্টগ্রামের জনগণ ও দলের নেতাকর্মিরা তাকে আগামি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চান। এজন্য তার বিগত দিনের কার্যক্রম মূল্যায়ন করলে এই পদের জন্য তাকে যোগ্য ব্যক্তি বলে তারা মনে করেন। একজন পারফেক্ট লিডার হিসাবে নেতাকর্মিরা তাকে অনুকরণ ও অনুসরণ করে রাজনৈতিক পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন। যেটা তিনি পরিবেশ মন্ত্রী থাকার সময় বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিয়ে প্রমাণ করেছেন।
যেহেতু আজকে বৈশ্বিক রাজনীতি জলবায়ু ইস্যু নিয়ে কাজ করা একজন ভিশনারি লিডারের পরিচায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। বাঙালি সংস্কৃতির মূল্যবোধের ভিত্তিতে যে কল্যাণ রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা সেই অগ্রযাত্রায় তিনি জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম সারথি তিনি। যার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়ে সামনের লক্ষ্য অর্জনে দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ ৫ জুন ড. হাছান মাহমুদের জন্মদিন। তিন তিনবারের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমন একজন জননেতা, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য যাকে আমরা শুধু নিজেদের ব্যক্তিগত চাহিদার জায়গা থেকে না দেখে- একজন স্বাপ্নিক, ভিশনারি রাজনীতিক হিসাবে তার লক্ষ্য, সদিচ্ছা, স্বপ্ন্ ও জনকল্যাণ ভাবনায় সহযোগিতা করি। এতে জনকল্যাণ তরাণ্বিত হবে, সাথে বৃহত্তর চট্টগ্রাম আরো ধন্য হবে।
লেখক: সাংবাদিক