শেষ হলো আফগান সীমান্তে রুশ নেতৃত্বাধীন মহড়া

4

 

তাজিকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে রাশিয়ার নেতৃত্বে ছয় দিনের সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে। এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো দক্ষিণ দিক থেকে কোনও আগ্রাসন আসলে দুসানবে রক্ষায় রাশিয়ার প্রস্তুতি দেখানো। কাবুলের তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে শুরু থেকেই তাজিকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ। সীমান্তের উভয় পাশে সেনা সমাবেশে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে মস্কো। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ তাজিকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে রাশিয়ার। কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও) আয়োজিত এই মহড়ায় বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কাজাখাস্তান এবং কিরগিজস্তান অংশ নেয়। প্রায় চার হাজার সেনার পাশাপাশি ট্যাংক, কামান এবং বিমান অংশ নেয়। তাজিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেরালি মিরজো বলেন, প্রথমবারের মতো এতো বড় আকারে মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। সিএসটিও মহাসচিব স্টানিসলাভ জাস বলেন, এই মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে তাজিকিস্তানে কোনও আগ্রাসন সহ্য করা হবে না- তা দেখানো।
তিনি বলেন, ‘বিপদের মুখে আমরা তাজিকিস্তানকে একা ছেড়ে যাবো না।’ লাখ লাখ তাজিক আফগানিস্তানে বসবাস করেন। তারাই আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। আফগানিস্তানে সরকার গঠনে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তালেবানের কঠোর সমালোচনা করেছেন তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমোন। রুশ সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে ইমোমালি রাখমোনের সরকার উৎখাতে নৃতাত্ত্বিক তাজিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট গড়তে চাইছে তালেবান।