শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে কেন এত বিতর্ক!

15

 

নির্বাচনে একজন প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণের করার অভিযোগ করেছেন। আরেকজন প্রার্থীর নামে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। বিশেষ করে জায়েদ খানের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অনেক অভিনেতাকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ভাইরাল হয় জায়েদ খানকে নিয়ে অভিযোগ নায়িকা পপির ভিডিও। এরপর নিপুনের একের পর এক অভিযোগসহ আরো নানান বিষয় নিয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আলোচনার ঝড় ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া মনে করেন এবারের নির্বাচন দৃষ্টি কেড়েছে দুটি কারণে। প্রথমত: তারকা-মূল্য এবং সামাজিক মাধ্যমে তারা খোলামেলা কথা বলেছেন।
দ্বিতীয়ত, আগের সমিতি কতটা কাজ করেছে, প্রকৃত শিল্পীরা কে কোথায় আছেন, তাদের খোঁজ খবর না নেয়া-এসব কিছু মানুষের নজর কেড়েছে। এ বিষয়গুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে তা পুরো পরিবেশ সম্পর্কে একটা বিরূপ ধারণা তৈরি করে। এসব কিছু এফডিসির কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ ছিল। তিনি আরো বলেন, এফডিসি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অনুদান থেকে টাকা কমিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রনোদনা দিয়ে এফডিসি সিনেমা বানাতে পারে। অনেক নির্মাতা টাকা নিয়ে সঠিকভাবে খরচ করেন না। প্রনোদনা দেবে যারা ভালো সিনেমা বানায় তাদের। বছরে ১০ থেকে ১২টা ভালো চলচ্চিত্র করতে পারলে মানুষ দেখবে। এফডিসি একটা কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াবে।