পূর্বদেশ ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে আগামী এক মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গতকাল বুধবার এই আবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে’ করা ওই রিট আবেদনে স্বাস্থ্য সচিব ও শিক্ষা সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হলে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ধাপে ধাপে ছুটি বাড়ানো হয়।
অবশেষে সংক্রমণ কমে এলে ৫৪৩ দিন পর গতবছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার। তাতে দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে ফেরার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়।
এরইমধ্যে গত নভেম্বরে করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে।
ওমিক্রনের দাপটে নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশে সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১১টি বিধি-নিষেধ জারি করেছে সরকার। সেখানে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়তে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ’র
ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে টিকাদান কার্যক্রমে জোর দিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে তিনি বলেন, “সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আমাদের কী কী অপশন আছে, সব দেখে, আমরা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যেহেতু এখন টিকার কার্যক্রম খুবই জোরেশোরে চলছে, সবাইকে সেই টিকার আওতায় এনে আমরা কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারি, সেই ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।”
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগ বুধবার থেকে আবার ভার্চুয়াল কার্যকমে ফিরে গেছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “করোনা সংক্রমিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বুধবার হতে আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ এবং এতদসংক্রান্ত জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চের বিচারিক কার্য্ক্রম পরিচালিত হবে।”
