লামায় দুই বিদ্রোহীকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার

30

লামা প্রতিনিধি

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বান্দরবানের লামা উপজেলার দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বহিস্কৃত নেতারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপাতি মো. আক্তার কামাল ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক।
জানা যায়, দেশে দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার। এই দফায় ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ নভেম্বর। এ তফশীল ঘোষণার পর আক্তার কামাল ও ওমর ফারুক দুই ইউনিয়ন থেকে স্ব স্ব চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পরে গত ২৬ অক্টোবর বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভার সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২১ এর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আক্তার কামাল ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের নির্বাচনে মো. ওমর ফারুক নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দলীয় গঠনতন্ত্র ৪৭(১১) ধারা সুস্পষ্ট লংঘন করে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন এবং প্রার্থীরা প্রত্যাহারের সময় সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে স্বীয় প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। বিধায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে দায়িত্বরত পদ থেকে অপসারণসহ বহিস্কার প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনের ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয় গত ২০ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৬ অক্টোবর, ২৭ অক্টোবর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিস্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।