রোজাদারের আনন্দময় মুহূর্ত ইফতার

15

ইফতারের সময় হচ্ছে রোজাদারের জন্য আনন্দময় মুহূর্ত। ইফতার অর্থ ভঙ্গ করা। এর রয়েছে যথেষ্ট তাৎপর্য। ইফতারের সময় প্রত্যেক রোজাদারের মন আনন্দে ভরে উঠে। তারা দৈনন্দিন জীবনে যত সমস্যা বা চিন্তাগ্রস্তই থাকুক না কেন, ইফতারের সময় পানিতে একটু চুমুক দেয়ার সাথে সাথে মনে এক অনাবিল আনন্দের পরশ অনুভব করেন। সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ইফতার করা সুন্নাত। অকারণে বিলম্ব করা মাকরুহ। যথাসময়ে ইফতার করার ফজিলত অপরিসীম।
হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, হযরত সাহল (রা.) হতে বর্ণিত, ‘নবী করীম (সা.) বলেছেন, মানুষ (মুমিন) সর্বদা কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যতদিন তারা ইফতারের সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করবে।’
মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন খোরমা, খেজুর ইত্যাদি দ্বারা ইফতার করা উত্তম। এ সময় পানি পান করা ভাল ও শরীরের জন্য উপকারী, হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, ‘হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘তিনি বলেন যে, নবী করিম (সা.) মাগরিব নামাজের পূর্বে কয়েকটা তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যদি তাজা খেজুর না পেতেন, তাহলে কয়েকটি শুকনা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যদি তাও না পেতেন, তাহলে কয়েক ঢোক পানি পান করে নিতেন।’ উল্লেখিত বর্ণনা দ্বারা বোঝা যায়, ইফতার নবী করিম (সা.) এর সুন্নাত। রোজাদারকে ইফতার করানোও বড় সওয়াবের কাজ। এক ঢোক পানি অথবা একটি খেজুর অথবা একটু দুধ বা শরবতের বিনিময়ে ইফতারীর আয়োজন কারীর জীবনের গুনাহ সমূহ মাফ করে দেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে রোজাদারকে পেট ভরে খাওয়ালো,আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত আমার হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন। সে আর কখনোই পিপাসিত হবেনা।
রোজাদারের জন্য আরও একটি সুসংবাদ হলো ইফতারের মুহূর্তে আল্লাহর দরবারে দোয়া-ফরিয়াদ কবুল হয়। এটি দোয়া কবুলের এক বিশেষ মুহূর্ত। রোজাদার আল্লাহর নিকট এত প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য হয় যে, ইফতারের সময় তার দোয়া আল্লাহর দরবার হতে ফেরত হয় না। সুতরাং রোজাদারের উচিৎ ইফতারের সময় দোয়া-দরুদ ও মুনাজাত-ফরিয়াদ করা।