রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে শিশুর অধিকার

53

রেবা বড়ুয়া

পৃথিবীর চিন্তাশীল ও মানবহিতৈষী মানুষের কাছে শিশু অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ শিশুরাই মানবসমাজের মূল ভিত্তি। এরাই আগামী দিনের নাগরিক। পৃথিবীর অগ্রযাত্রা, মানবসমাজের উৎকর্ষতা, সফলতা-ব্যর্থতা সবকিছুই নির্ভর করে এই শিশুদের উপর। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই শিশুর অধিকারকে স্বীকার করে। প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো শিশুদেরও রয়েছে নাগরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অধিকার। এই দৃঢ় বিশ্বাসটিই ‘শিশু অধিকার সনদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে এবং ১৯৯০ সালে তা আন্তর্জাতিক আইনে অন্তভুক্ত হয়। ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করে। এভাবে সারা বিশ্বের সকল ধর্ম ও মতাবলম্বী লোকেরা শিশু ও তার অধিকারের ব্যাপারে সব সময় ভেবেছেন, অধিকার বান্তবায়নের উপায় খুঁজেছেন। এই প্রবন্ধে জাতিসংঘের ‘শিশু অধিকার সনদ’ ও বাংলাদেশের ‘জাতীয় শিশুনীতি’র আলোকে বিশেষ কতিপয় শিশুর অধিকার এবং মুসলিম শিশুর প্রয়োজনীয় অধিকার সমূহের পর্যালোচনা করা হবে।
অধিকারকে সাধারণ অর্থে আমরা পাওনা মনে করি। জন্মের সাথে-সাথে মানব সমাজের নিকট কতিপয় পাওনার দাবি নিয়ে মানুষ আবির্ভূত হয়। সমাজের কাছে মানুষের এই যে পাওনার দাবী তাই হচ্ছে অধিকার। বিখ্যাত আইনবিদ হিবার্ট বলেছেন, একজন মানুষের অধিকার বলতে আমরা বুঝি, কাউকে কিছু করতে বা না করতে বাধ্য করার ক্ষমতা। এই ক্ষমতা তার নিজস্ব নয় বরং তৃতীয় কোন পক্ষের প্রদত্ত ক্ষমতা। এই তৃতীয় পক্ষ যদি হন ঈশ্বর তাহলে অধিকার হবে ঐশ্বরিক। তৃতীয় পক্ষ যদি হয় সমাজ তাহলে অধিকার হবে নৈতিক এবং তৃতীয় পক্ষ যদি হয় রাষ্ট্র তাহলে অধিকার হবে আইনগত। সমাজ জীবনে পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রাপ্তবয়স্কদের মত শিশুদেরও কতিপয় অধিকার আছে যা তাকে পিতা-মাতা, পাড়া-প্রতবেশী, নিকটাত্মীয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে লাভ করতে হয়। আর তার অধিকারগুলোকে যথাযথ পাওয়ার ব্যবস্থা করাটা তাদের কর্তব্য। আইনজ্ঞ গাজী শামছুর রহমানের মতে-যা নইলে শিশু বাঁচে না, শিশু দেহগতভাবে বড় হতে পারে না, শিশু মনের দিক থেকে পুষ্ট হতে পারে না, যার অভাবে শিশুর ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ হয় না, সেগুলির ব্যবস্থা করার এবং নিশ্চয়তার দাবির নামই হলো শিশু অধিকার। জাতি-গোত্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বের সকল শিশুরই নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অধিকার রয়েছে। যুগ-যুগ ধরে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠি ও বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা সেগুলোর ব্যাপারে সচেতন হবার চেষ্টা করেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৯২৪ সালে সর্বপ্রথম শিশুদের অধিকার বিষয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত ‘শিশু অধিকার ঘোষণায়’ শিশুদের অধিকার বিষয়ে আলোচনা স্থান পায়। পরে ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ‘শিশু অধিকার সনদ’ গৃহীত হয়। এর নয় মাস পরে ১৯৯০ সালের ২ সেপ্টেম্বর তা আন্তর্জাতিক আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়। তারপর থেকে ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত শুধু কুক আইল্যান্ডস, ওমান, সোমালিয়া, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৮৯টি দেশ এই সনদ অনুমোদন করেছে এবং এটি পরিণত হয়েছে ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তিতে। উল্লেখ্য যে, প্রথম যে ২২টি দেশ সনদটি গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ তার অন্যতম। শিশুদের প্রতি বর্তমান বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মূলেও রয়েছে এই শিশু অধিকার সনদ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে শিশু উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন ও ১৯৭৬ সালে শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সবশেষে ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করে।
সা¤প্রতিককালে বেশ কিছু জাতীয় ও অন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা বিভিন্নভাবে শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে অবদান রেখে চলেছে। অনেক ক্ষেত্রে শিশু-শিক্ষা বা শিশু-স্বাস্থ্য বিষয়ক বেশির ভাগ সরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়নেও অবদান রেখে চলেছে এ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আন্তর্জাতিক স্বেচছাসেবী সংস্থার মধ্যে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ (ইউকে, ইউএসএ, অষ্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক); ‘টেরেডেস হোম’ (ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক); ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং কেয়ার প্রভৃতি সংস্থা শিশু উন্নয়ন ও বিকাশে ব্যাপক কর্মসূচি’র অধীনে কাজ করে যাচ্ছে। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ নামের আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সুইডেন অংশ যার নাম ‘রাড্ডা বারনেন’ ১৯১৯ সাল থেকে অনুন্নত বিশ্বের অনেক দেশের শিশুদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে এবং ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে কাজ শুরু করে। ১৯৭৪ সাল থেকে ৫টি ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশুস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় ভূমিকা রাখছে। পরে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ সনদের শিশু অধিকার বান্তবায়নের লক্ষ্যে ‘সুরভী’ ‘ফাতেমা’ ‘ছিন্নমুকুল’ ‘ধর্মরাজিক অরফানেজ’ ‘ছিন্নমুকুল শিশু কিশোর সংস্থা’ ‘বিকাশ’ নামের স্থানীয় ১১টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে সহযাত্রী করে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশের পথে ব্যাপক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সুশিক্ষা পাবার অধিকার:
বিশ্বের প্রতিটি দেশের শিশুদের সুশিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। তাই যে কোন জাতির মূল ভিত্তি শিশুদের শিক্ষার সুব্যবস্থা করতেই হবে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের ২৮ ধারায় শিক্ষার মৌলিক অধিকার এবং এই অধিকার বান্তবায়নের জন্য অনুমোদনকারী রাষ্ট্রসমূহকে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে, সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে:
ক. প্রাথমিক শিক্ষা সকল শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করা।
খ. স্কুলে নিয়মিত উপস্থিতির ব্যাপারে উৎসাহিত করা এবং স্কুল ছেড়ে যাওয়ার হার হ্রাস করা।
গ. বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমিক শিক্ষা পদ্ধতি (সাধারণ ও বৃত্তিমূলক সহ) উদ্ভাবন এবং সকল শিশু যাতে এসব শিক্ষা লাভের সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করা।
ঘ. যোগ্যতা ও সামর্থ্যরে ভিত্তিতে সকলের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা।
ঙ. সকল শিশুর জন্য সাধারণ শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার নির্দেশনা ও তথ্য লাভের সুযোগ সৃষ্টি করা।
উক্ত ধারায় স্কুলের শৃঙ্খলার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রসমূহকে এমনভাবে স্কুল প্রশাসনের পরিচালনা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যাতে শিশুর মানবিক মর্যাদা সংরক্ষিত থাকে এবং সনদ লংঘিত না হয়। উক্ত ধারার শেষে শিক্ষা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিকাশের (বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহের কল্যাণে) কথা বলা হয়েছে। এর উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি ও বিজ্ঞান / কারিগরি জ্ঞানের সুযোগ লাভে সহায়তা করা।
জাতিসংঘ সনদের ২৯ ধারায় শিক্ষা পদ্ধতির ভিত্তি হিসেবে যেসব মূল্যবোধ ও নীতি কাজ করবে, সে সবের উল্লেখ রয়েছে। প্রথম নীতি হচ্ছে “শিশুর ব্যক্তিত্ব, মেধা এবং মানসিক ও দৈহিক সামর্থ্য পূর্ণমাত্রায় বিকাশ।” এতে শিক্ষাদানের এমন এক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে যা পূর্ব নির্ধারিত কিছু বিষয় শেখানোর পরিবর্তে শিক্ষার্থীর পড়লেখার উপর আলোকপাত করবে। অন্যান্য নীতিতে রয়েছে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা; প্রাকৃতিক পরিবেশ,শিশুর মা-বাবা; তার নিজের ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ এবং শিশু যে দেশে বাস করে সেখানকার এবং অন্যান্য সভ্যতার মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। সব শেষে, শিক্ষা শিশুদেরকে এমনভাবে তৈরি করবে, যাতে একটি মুক্ত সমাজে তারা দায়িত্বশীল জীবন-যাপন করতে পারে-যে সমাজের বৈশিষ্ট্য হবে শান্তি, শৃংখলা, ধৈর্য, সহানুভূতি, সাম্য-মৈত্রী এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহাবস্থান।
জাতিসংঘের সনদটি অনুমোদনের পর থেকে বাংলাদেশের উপর সবচেয়ে বড় যে দায়িত্বটি বর্তায় তা হলো প্রাথমিক শিক্ষা সার্বজনীন করা, যা এখন অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক। এ পর্যন্ত নেয়া প্রচেষ্টার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির সংখ্যা আকর্ষণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হার ১৯৯০ সালের ৬০ শতাংশ থেকে ১৯৯৬ সালে ৭৯ শতাংশে দাঁড়ায় । অনুরূপভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের হারও দিন দিন বাড়ছে। এই হার ১৯৯০ সালের ৪৩ শতাংশ থেকে ১৯৯৫ সালে দাঁড়ায় ৬০ শতাংশে। ১৯৯৬-৯৭ সালের এমআইসিএস এর ফলাফল থেকে দেখা যায়, জাতীয় পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়সী শতকরা ৬৫ ভাগ ছেলেমেয়ে নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত ছিল। গ্রাম ও শহর এলাকার নিয়মিত উপস্থিতির হার হচ্ছে যথাক্রমে ৬৪ ও ৭১ শতাংশ। নগরীর বন্তি এলাকায় শতকরা ৮২ ভাগ ছেলেমেয়ে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। সারা দেশে মেয়ে ও ছেলেদের স্কুলে উপস্থিতির প্রবণতা তুলনা করলে দেখা যায় যে, মহানগর বহির্ভূত অন্যান্য শহর এলাকা ছাড়া, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অধিক সংখ্যায় নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। মহানগরীর বন্তি এলাকায় মেয়েদের এই হার ৭ শতাংশ বেশী। ভর্তি ও শিক্ষা সমাপনের হার বাড়ানোর জন্য নিবিড় জেলা পদ্ধতির মাধ্যমে সবার জন্য শিক্ষা প্রকল্প (আইডিইএএল) নামে আরেকটি কর্মকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৭টি থানায় এর কার্যক্রম বান্তবায়িত হচ্ছে। এই কার্যক্রম স্কুলগুলোকে সমাজের চাহিদার প্রতি আরো মনোযোগী করে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় জনগোষ্ঠির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করেছে। এই কার্যক্রমে বহুমুখী শিখন পদ্ধতিটি চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে শিশুদের যে সাতটি বুদ্ধিমত্তা যথা: মৌখিক / ভাষাগত, দর্শনগত/ অবস্থানগত, গাণিতিক / যৌক্তিক, দৈহিক / শরীরবৃত্তীয় অনুভূতিমূলক, সঙ্গীতমূলক / ছন্দময়, অন্ত:ব্যক্তিক এবং আন্ত : ব্যক্তিক সম্পর্কিত ধারণা প্রয়োগ করা হয়েছে। বহুমুখী শিখন পদ্ধতির লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আরও সক্রিয় করা এবং সার্বিক শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আরও আনন্দময় ও কার্যকর করা। এ দেশে শিশুদের শিক্ষার মানকে আরো বাড়ানার জন্যে দরকার, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ সমৃদ্ধ পর্যাপ্ত সংখ্যক স্কুল ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনোপযোগী পাঠক্রম এবং শিক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়াকে উপভোগ্য করে তোলে, সে রকম কার্যকর শিক্ষা পদ্ধতি।
পরিশেষে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায়-
“এসেছে নতুন শিশু
তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ ,মৃত
আর ধ্বংসস্তুপ পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদরে
চলে যাবো-তবুও আজ
যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য
করে যাবো আমি নবজাতকের কাছে-
এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার”

লেখক : আইনজীবী, প্রাবন্ধিক