রাঙামাটিতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে

14

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাঙামাটিতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। জেঁকে বসেছে শীত। সকালে কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো দেখা মিলছে দেরিতে। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন কাজ। জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় এবং মৃদু শৈতপ্রবাহের কারণে জবুথবু রাঙামাটির মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে রাঙামাটির বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় মানুষকে সকাল সন্ধ্যায় খড়কুটো ও লাকড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে কিছু লোকজনের মাঝে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও দুর্গম এলাকায় তৎপরতা কম। ফলে আগুনে শীত নিবারণ করতে গিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার পাড়া-গ্রামের অনেক অসহায় লোকজনের নির্ঘুম রাত কাটছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটিতে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। রাঙামাটি সদর হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগির চাপ। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ভর্তি করানো হচ্ছে ঠান্ডাজনিত বহু রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, প্রতিবছর শীতকালে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বাড়ে। এ বছর কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আক্রান্তদের অর্ধেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলা সদর ছাড়াও উপজেলা হাসপাতালগুলোতেও একই অবস্থা।