রাঙামাটিতে জমজমাট ঈদবাজার

16

এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি

ঈদের আর মাত্র বাকি ৬ দিন। যার যার সাধ্য মত লোকজন ঈদের কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। রাঙামাটি শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বনরুপা শপিংমল,রিজার্ভ বাজার সমজিদ মার্কেট শপিংমল,তবলছড়ি বাজারে ঈদের নতুন কাপড় কেনার জন্য ভিড় করছে ক্রেতারা। গত ২ বছর করোনার জন্য মানুষ খোলা মনে যখন তখন হাট বাজারে যেতে পারিনি। এবার ছোট বড় সবাই শপিংমলে দেখা যাচ্ছে। যার যার পছন্দ মত কেনাকাটা করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রিজার্ভ বাজার সমজিদ মার্কেট শপিংমল, তবলছড়িও বনরুপা বিএম শপিংমল ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত লোকজন। কেউ কিনছে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের ড্রেস আবার কেউ কিনছে থ্রি পিছ ও বিভিন্ন রঙ বেরঙে আলতা, হাতের চুরি ও প্রসাধনী। তবে বড়দের চেয়ে ছোটরাই কাপড় ছোপড় বেশী কিনতে দেখা গেছে। অনেকে আবার হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, গত ২ বছরের চেয়ে এবছর সব কিছুর দাম বেড়েছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাপড় ছোপড়ের দাম বেশী নিচ্ছে দোকানিরা। ক্রেতা রবিউল হোসেন বলেন, মার্কেটে চাহিদা মত কাপড় ছোপড় উঠেছে তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর দাম বেশী। বিশেষ করে বড়দের কাপড় ছোপড়ের চেয়ে বাচ্চাদের কাপড় ছোপড়ের দাম অনেকটা বেশী। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী। বাজারে আসলে দেখা যায় আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন মিল নাই।
তিনি আরো বলেন, মাঝে মধ্যে বাজারে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখি কিন্তু কে শুনে কার কথা। ভোক্তা অধিকার আছে শুনেছি কিন্তু তাদের কোন কার্যকলাপ চোখে পড়েনি। জেলা প্রশাসনের অধীনে একজন মার্কেটিং অফিসার রয়েছে সে কি কাজ করে তাও আমাদের বোধগম্য নহে। সোয়াবিন ও গ্যাস নিয়ে প্রশাসনের লোকজন কোন কাজ করছে না। এই ঈদে প্রতিটি মার্কেটে কাপড় ছোপড়ের উপর জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মনিটরিং করা প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রুটিন ওয়েজ জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয়ে আসছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে শপিংমলগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বলে দেওয়া হয়েছে। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উপর প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।