যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঋষি

14

কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপিদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন পাউন্ড। ব্যক্তিগতভাবে ধনাঢ্য ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক রুগ্নদশা কাটিয়ে ওঠতে কেমন ভূমিকা রাখতে পারেন, সেদিকে চোখ এখন কোটি ব্রিটিশের। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ব্যাংক ইংল্যান্ডের ঋণের দেনা কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতিশ্রæতি কতটা তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেন তা জানতে কয়েক মাস অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও গতি নেই।
একের পর এক উচ্চাকাক্সক্ষী সিদ্ধান্ত আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যয়ের মুখে ব্রিটেনের অর্থনীতি। করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি ব্রেক্সিটের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনের রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে মৃত ইউরোপ–এমন অভিযোগ তুলে ইউরোপ থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে গেলেও সেই ইউরোপীয় নেতারাই ব্রিটিশ অর্থনীতির বিপর্যয় নিয়ে সরব। অনেক সমালোচক প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি ইতালির মতো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে ব্রিটেনের? ব্রিটেনে বসবাসরত বাম রাজনৈতিক সংগঠক নুরুর রহিম নোমান বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী সুনাক যদি আগের প্রধানমন্ত্রীদের পরিণতি থেকে শিক্ষা না নেন, তবে শুধু তার জন্য ব্রিটেনের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
বেলজিয়ামের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইউরোপপন্থি গাই ভারহফস্ট্যাড বলেছেন, এই বিশৃঙ্খলা ২০২২ সালে শুরু হয়নি, হয়েছে ২০১৬ সালে। স্পেনের সমাজতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের মন্তব্যেও একই ইঙ্গিত ছিল। তিনি গত সপ্তাহে ব্রিটেনের সংকট উন্মোচিত হওয়ার পর ট্রাসের কর প্রস্তাবের নিন্দা করেছিলেন। স্পেনের পার্লামেন্টে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্যে চরম অস্থিরতা দেখছি।’ কেউ কেউ যুক্তরাজ্যের এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতাকে বিশৃঙ্খল ইতালির মতোই মনে করছেন। এ বিষয়ে মুখ খোলেন ইউরোপের বাইরের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি ব্রিটেনের ৪৫ শতাংশ শীর্ষ আয়কর হার বাতিল করার পরিকল্পনাকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। এমন কী ব্রিটেনের কট্টর রক্ষণশীল সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ, যা ব্রেক্সিট গণভোটকে সমর্থন করেছিল, তারাও স্বীকার করেছে, অর্থনৈতিক লক্ষ্য ব্যর্থ হয়েছে।
ক্যামডেন লেবার পার্টির সদস্য সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম খছরু বলেন, ঋষি সুনাকের বড় চ্যালেঞ্জ হলো আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দলকে ভুমিধস পরাজয় থেকে রক্ষা করা। জনমত জরিপেও লেবার পার্টি অনেক এগিয়ে।