যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা বানিয়ে ব্যবসা চাঙ্গা ইরানি কারখানার!

40

ইরানের সবচেয়ে বড় পতাকা তৈরির কারখানায় বিপুল পরিমাণে আমেরিকান, ব্রিটিশ ও ইসরায়েলি পতাকা তৈরি হচ্ছে। ইরানি প্রতিবাদকারীরা পোড়ানোর জন্য এগুলো কিনে থাকে। তেহরান-ওয়াশিংটন তিক্ত সম্পর্কের কারণে সেখানে বিপুল পরিমাণ পতাকা পুড়িয়ে ক্ষোভ জানায় ইরানিরা। আর যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা বানিয়েই ওই বৃহৎ কারখানাটির ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠছে।
উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী কুদস ফোর্সের প্রধান কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে। এরপর মারাত্মক প্রতিশোধের হুমকি দেয় তেহরান। কয়েকদিন পর ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চালায় ইরান। দেশজুড়ে তীব্রতর হয় ওয়াশিংটনবিরোধী ক্ষোভ। রাষ্ট্রসমর্থিত সমাবেশে ও প্রতিবাদগুলোতে তাই বিক্ষোভকারীরা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ায়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে খোমেইন শহরের দিবা পারচাম নামের ওই কারখানার কর্মীরা পতাকায় হাতছাপ দেওয়ার পর সেগুলো শুকানোর জন্য ঝুলিয়ে রাখে। চাহিদা সর্বোচ্চ থাকায় সম্প্রতি এক মাসে প্রায় দুই হাজার মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা বানিয়েছে তারা। কারখানা মালিক কাসেম ঘানজানি বলেন, ‘আমেরিকান কিংবা ব্রিটিশ জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আমাদের সমস্যা তাদের সরকারগুলোর সঙ্গে। আমাদের সমস্যা তাদের ভুল নীতিধারী প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে। তাদের জনগণ জানে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। বিভিন্ন সমাবেশে লোকজন এই দেশগুলোর পতাকা পোড়ায় শুধু তাদের প্রতিবাদ প্রদর্শনের জন্য।’