মের্কেলসহ শতাধিক জার্মান নেতার ‘ব্যক্তিগত তথ্য চুরি’

30

বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলসহ কয়েকশ’ রাজনীতিবিদ। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতিবিদদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং মোবাইল ফোন নাম্বারসহ ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকাররা অনলাইনে ফাঁস করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ, চ্যাট, ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনের তথ্যসহ জার্মানির বিভিন্ন দলের অভ্যন্তরীন তথ্যও টুইটারের মাধ্যমে ফাঁস করা হয়েছে। কেবল কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি বাদে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার বার্লিনভিত্তিক রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরবিবি ইনফোরেডিও তাদের এক প্রতিবেদনে এ গণহ্যাকিং এবং গোপন তথ্য অনলাইনে প্রকাশ হওয়ার খবর জানায়।
রাজনীতিবিদদের তথ্য ছাড়াও ফাঁস হয়েছে তারকা এবং সাংবাদিকদের তথ্যও। হ্যাকিংয়ের পেছনে কারা জড়িত বা তাদের উদ্দেশ্য কি তা জানা যায়নি। জার্মানির পার্লামেন্টে যেসব দল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে এএফডি ছাড়া প্রত্যেকটিকেই টার্গেট করেছে হ্যাকাররা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।তবে সে ক্ষতির মাত্রা কতটুকু তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। যদিও জার্মান বিচারমন্ত্রী এ হ্যাকিং কে ‘মারাত্মক হামলা’ বলেই মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, এর পেছনে জড়িতরা গণতন্ত্রে জার্মানির আস্থা ক্ষুন্ন করতে চাইছে।
জার্মানির তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। তাছাড়া, এ হ্যাকিংয়ে সরকারি নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে তারা জেনেছে বলেও জানিয়েছে। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের কার্যালয় থেকেও স্পর্শকাতর কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি বলে জানিয়েছেন সরকারের এক মুখপাত্র। জাতীয় সাইবার-প্রতিরক্ষা কেন্দ্র ঘটনাটি নিয়ে শুক্রবার সকালে জরুরি বৈঠক করেছে। হ্যাক করা তথ্যগুলো অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছিল গত মাসে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই প্রথম এ খবর জানাজানি হয়। জার্মানির বিল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, সব তথ্যই চুরি হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবরের আগে। তবে চুরি কখন থেকে শুরু হয়েছে তা জানা যায়নি।
জার্মানির রাজনীতিবিদরা এর আগেও সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন। ২০১৫ সালে জার্মান পার্লামেন্টের বুন্ডেসটাগের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরি করতে কয়েক দফা সাইবার হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়। গত বছরও জার্মান সরকারের আইটি নেটওয়ার্ক নতুন করে হামলার কবলে পড়ে।