মিয়ানমার : অগ্নিসংযোগ-সহিংসতার জন্য বিক্ষোভকারীদেরই দুষছে জান্তা

60

মিয়ানমারে গত মাসে অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া জান্তাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার জন্য বিক্ষোভকারীদের ওপরই দায় চাপিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নির্দয় নিপীড়ন চালানো বাহিনীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর আরও নিষেধাজ্ঞার খবরের মধ্যেই মঙ্গলবার সামরিক জান্তার মুখপাত্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দুষলেন।
জান্তার মুখপাত্র জ মিন তুন নেপিডোতে এক সংবাদ সম্মেলনে অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে ১৬৪ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবরও স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা। “তারা আমাদের নাগরিকও,” মঙ্গলবার নেপিডোতে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন তিনি। তবে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) হিসাবে, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক দমনাভিযানে অন্তত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবারই মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে এক কিশোরসহ তিনজন নিহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের পাশাপাশি স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এরপর রাতভর নিরাপত্তা বাহিনী ইয়াংগনের একাংশে অভিযান চালায়। সেখানে গুলির শব্দ শোনা গেছে, কয়েকজন আহতও হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম মিজিমা। দেশটির সামরিক জান্তা ফেব্রæয়ারির অভ্যুত্থানের পেছনে গত বছরের ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে হওয়া ‘জালিয়াতিকে’ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। ওই নির্বাচনে নোবেলজয়ী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল।
সেনাবাহিনী ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে ফল গণনার পর থেকে অভিযোগ জানিয়ে এলেও মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন সেসময় তা উড়িয়ে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী ১ ফেব্রæয়ারি ক্ষমতা দখল, অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি ও মিয়ানমারজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে।