মিয়ানমারে ২ বিক্ষোভকারী নিহত দোকানপাট ও কারখানা বন্ধ

22

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সোমবার ফেইসবুকে পোস্ট করা ছবিতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাইতকিইনার রাস্তায় দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এদিন বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনে দোকানপাট, কারখানা ও ব্যাংক বন্ধ ছিল।
মাইতকিইনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ স্টান গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে, ওই সময় নিকটবর্তী ভবনগুলো থেকে গুলি ছোড়া হলে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। মৃতদেহগুলো সরাতে সাহায্য করা একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, মাথায় গুলি লাগার পর দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরও তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ২০ বছরের একজন তরুণ বলেন, “কতোটা অমানবিক, নিরস্ত্র বেসামরিকদের হত্যা। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের আছে।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভস্থলে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও কারা গুলি ছুড়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার ছিল না। ফেইসবুকে পোস্ট করা ভিডিও অনুযায়ী, এদিন ইয়াঙ্গনের পাশাপাশি দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় ও অন্য বেশ কয়েকটি শহরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর দাউইতে দীর্ঘদিন ধরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা দিয়েছে।
জান্তার নিন্দা জানাতে বিক্ষোভকারীরা পতাকা এবং কিছু কিছু এলাকায় নারীদের ব্যবহৃত পোশাক হাতেমাইন ও লুঙ্গি দুলিয়ে জান্তার নিন্দা জানায়। কোথাও কোথাও নারীদের ব্যবহৃত লুঙ্গি রাস্তার উপর লাইন ধরে টাঙিয়ে রাখে। মিয়ানমারের ঐহিত্য অনুযায়ী নারীদের এসব পোশাকের নিচ দিয়ে যাওয়া পুরুষের জন্য অমঙ্গলজনক। পুলিশ ও সৈন্যদের গতি কমিয়ে দেওয়াই এসব তৎপরতার লক্ষ্য। আইন প্রয়োগ করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিরাপত্তা বাহিনী হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত থাকা শুরু করেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।