মিয়ানমারে পুলিশের গুলিতে ৯ বিক্ষোভকারী নিহত

11

সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর আবারও গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত নয় বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি শহরে সামান্য সতর্কতার পরই গুলি চালানো হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই নিয়মিতভাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর ৩ মার্চ বুধবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে মোট ৩১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। বুধবার মিয়াঙ্গিয়ান শহরে বিক্ষোভকারীদের নেতা সি থু মং বলেন, ‘তারা (নিরাপত্তা বাহিনী) সরাসরি আমাদের দিকে আসে আর টিয়ার গ্যাস ছোড়ে আবারও এগিয়ে এসে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। জল কামানও প্রয়োগ করেনি, ছত্রভঙ্গ হতে সতর্কও করেনি, কেবল বন্দুক দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে।’ মিয়াঙ্গিয়ানে কেবল এক তরুণ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটেছে মনিওয়াতে। সেখানে চার পুরুষ ও এক নারী বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনিওয়া গেজেট-এর সম্পাদক খো থিট সার।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সদস্য এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাঁচ জন নিহত হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। এছাড়া অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে, বেশ কয়েকজন এখনও অজ্ঞান হয়ে আছে।’ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে নিহত হয়েছে দুই জন। আর মূল শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইয়াঙ্গুনের আর্চবিশপ কার্ডিনাল চালস মং বো টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘বেশিরভাগ বড় শহরেই তিয়েনমেন স্কয়ারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ছাত্র বিক্ষোভ দমন করতে বেইজিংয়ের তিয়েনমেন স্কয়ারে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে চীনা বাহিনী।