মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিদেশি সিগারেট জব্দ

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানিযোগ্য পোশাকের কাঁচামাল আমদানির ঘোষণা দিয়ে উচ্চশুল্কের এক কোটি ১৩ লাখ শলাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট এনেছে কুমিল্লা ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানা। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২৭ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে।
গত বুধবার বন্দরের ইয়ার্ডে কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআরআই) শাখার কর্মকর্তারা সন্দেহজনক দু’টি আমদানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার খুলে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। কায়িক পরীক্ষার ফলাফলে পাওয়া তথ্য উল্লেখ করে কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কনটেইনার দু’টিতে পাঁচশ’ ৬৫টি কার্টনের প্রতিটিতে সিগারেটের দু’টি করে অভ্যন্তরীণ কার্টন পাওয়া গেছে। এতে বিদেশি তিনটি পৃথক ব্র্যান্ডের এক কোটি ১৩ লাখ সিগারেটের শলাকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৪ লাখ ইজি, ৩৭ লাখ এক্সএসও এবং ৩২ লাখ অরিস ব্র্যান্ডের সিগারেট রয়েছে।
কাস্টমসের এআরআই শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, কুমিল্লা ইপিজেডে অবস্থিত বাংলাদেশ টেক্সটাইল এন্ড কেমিকেল ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাপড় ও কাপড়ের সরঞ্জাম ঘোষণা দিয়ে দুই কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করে তৈরি পোশাক রপ্তানির শর্তসাপেক্ষে অর্থাৎ বন্ড সুবিধায় চীনের সাংহাই বন্দর থেকে দুটি কন্টেইনার গত ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট আলমগীর অ্যান্ড সন্স পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। কিন্তু সন্দেহজনক পণ্যের উপস্থিতির গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআরআই শাখা কন্টেইনার দু’টি লক করে দেয়। এরপর গত বুধবার থেকে বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার খুলে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা শুরু করা হয়। যা শেষ হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
কাস্টমস কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় যেসব সিগারেট আনা হয়েছে তার দাম প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। উচ্চশুল্কের সিগারেট মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছিল। এআরআই শাখার কঠোর নজরদারির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।