মাইজভান্ডারী একাডেমির ৯ম আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলন

25

 

ত্বরিকায়ে মাইজভান্ডারী য়ার প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারী (ক.) এর ১১৬তম ১০ মাঘ ওরশ শরিফ উপলক্ষে ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’ এর ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাইজভান্ডারী একাডেমির আয়োজনে ১৯ জানুয়ারি বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে ৯ম আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং সম্প্রীতি সম্মিলনের আহ্ববায়ক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারীর লিখিত ‘আশীষ বাণী’ পাঠ করেন মাইজভান্ডারী একাডেমির সদস্য সচিব অধ্যাপক জহুর উল আলম।
সম্মিলনে বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের ধর্মবেত্তা ও চিন্তকরা বলেন, ধর্মের অনুশাসন পালনে উদাসীনতা ও ধর্মের নির্দেশনা অনুধাবনে ব্যর্থতাই ধর্মের নামে সংঘাত হানাহানির মূল কারণ। প্রযুক্তির বিস্ময়কর বিকাশ ও প্রভাবকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করে ধর্ম ও মনীষীদের সম্পর্কে অহেতুক বিদ্রুপতা বিতাড়িত করতে হবে। এদেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। এর কারণ হলো এখানে সুফিবাদের চর্চা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। সুফিবাদি ওলী মনীষীদের মাধ্যমে এদেশে ইসলামের আগমন ও বিকাশ ঘটেছে। তাই অসাম্প্রদায়িক ও উগ্রতামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকৃত সুফিবাদ চর্চা জরুরি। সম্প্রীতি সম্মিলনে স্ব স্ব ধর্মের আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান বিষয়ে আলোচনা করেন, চট্টগ্রাম আর্চ ডায়োসিস এর ভিকার জেনারেল ফাদার লেনার্ড সি রিবেরো, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, চবি পালি বিভাগের প্রথম বিভাগীয় সভাপতি প্রফসর ড. দীপংকর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া, চবি আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফেজ মোহাম্মদ নুর হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য দেন ড. সনজীব বড়ুয়া।
‘তাজকিয়া’ কেন্দ্রিয় পর্ষদ সম্পাদক আবু সালেহ সুমন এর সঞ্চালনায় শুরুতে কুরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত, হামদ, না’ত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। মাইজভান্ডারী কালাম পড়ে শোনান মাইজভান্ডারী মরমী গোষ্ঠীর সিনিয়র সদস্য সৈয়দ জাবের সরওয়ার। বিদ্রোহী কবি নজরুলের ‘মানুষ’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন আল হাসনাত শিহাব। লিখিত বক্তব্যে হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী বলেন, পৃথিবীতে সকল মানুষ এক আদমের পৃষ্ঠদেশের সন্তান।
ধর্ম, ভাষা, বর্ণ, দৈহিক গঠন ও নানা পেশা মানুষকে বৈচিত্র্যময় করেছে। এ ধরনের বহুত্ববাদিতা ¯্রষ্টার নির্ধারিত কৌশল। সকল মানুষের রক্তের রঙ অভিন্ন ‘লাল’। মানবদেহের প্রাণকোষ এবং মৌলিক ক্রিয়াশক্তি হচ্ছে ‘রুহ্’। রুহের উৎস এক ও অভিন্ন। এই অভিন্নতার কেন্দ্রবিন্দু হলেন একমাত্র স্রষ্টা মহান আল্লাহ্ পাক। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গবেষক মো. গোলাম রসুল। সভাপতির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করে মাইজভান্ডারী একাডেমি প্রত্যাশিত ভ‚মিকা রাখছে। পরে দেশ ও বিশ^বাসীর শান্তি কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি