পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, উপক‚লীয় জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) এর একটি ভিন্নধর্মী জোট, নাগরিক সমাজের সদস্যবৃন্দ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে প্রতিবাদী প্রতিকী প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সুরক্ষা নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে ২৫ এপ্রিল সিআরবি চত্ত¡রে এই প্রচারাভিযান আয়োজন করা হয়। ‘প্রোটেক্ট পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট ওভার প্রফিট’ শিরোনামের এই ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য এডিবি’র সুরক্ষা কাঠামোর ঘাটতি এবং ত্রæটিগুলির উপর যুক্তিযুক্ত সমালোচনায় আলোকপাত করা এবং বৃহৎ আকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে যে আক্রান্ত জনগোষ্ঠির অধিকার এবং পরিবেশকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে তা সকলের সামনে তুলে ধরা।
প্রচারাভিযানের মাধ্যমে, জলবায়ু কর্মীরা দাবি করেন, এডিবি’র সুরক্ষা নীতি ‘জেন্ডার, পরিবেশ এবং জীবনজীবিকা’ এর জন্য হুমকিস্বরূপ। এডিবি জীবাশ্ম গ্যাস এবং অন্যান্য ভুয়া প্রযুক্তির সমাধানে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখছে। তাই পরিবেশগত ও সামাজিক সুরক্ষা, শ্রমের মান এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত করতে হবে।
প্রচারাভিযান অনুষ্ঠানে আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসেন দাবি করেন, এডিবি কর্তৃক গৃহীত সুরক্ষা নীতির ফলে সারা বিশ্বের জেন্ডার, পরিবেশ, জীবন জীবিকা, মানবাধিকার আজ হুমকির মুখে। সুরক্ষা নীতি দ্বারা মানবতাকেই সমাহিত করা হয়েছে।
সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু বলেন, এডিবি’র বিদ্যমান সুরক্ষা নীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, হারুন গফুর ভুইয়া, সালাহউদ্দীন আহমদ, শাহীন চৌধুরী, রাজনীতিবিদ মিটুল দাস গুপ্ত, সেলিম জাহাঙ্গীর, জানে আলম, সাংবাদিক এম এ হোসেন, যুব সংগঠক আবু হানিফ নোমান, নারী অধিকার কর্মী ফেরদৌসী বেগম মৌসুমী, সুমাইয়া আফরোজ, এডাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী ফোরকান মাহমুদ, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি রাইসুল ইসলাম, মোহাম্মদ রায়হান, শুভ আহমেদ সাকিব, নাজমুস সাকিব হৃদয়, ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
