মহালয়ায় দেবী দুর্গাকে আবাহন

15

 

শ্রীশ্রী রাধাবিনোদ কেন্দ্রীয় পরিষদ ও মাতৃ পরিষদ : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নে ৬ অক্টোবর উদ্যাপিত হয়েছে মহালয়া। এদিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। শ্রীশ্রী চÐীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চÐী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা। পুরাণমতে, এদিনই দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। নগরের আসকার দিঘীর পশ্চিম পাড় শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রীশ্রী রাধাবিনোদ কেন্দ্রীয় পরিষদ ও মাতৃ পরিষদের ৪র্থ মহালয়া উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্ববায়ক সায়রা বানু রৌশনী। তাঁকে ক্রেস্ট তুলে দেন মাতৃ পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তি। শারদীয় দুর্গোৎসব সম্প্রীতির উৎসব।
অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন করেন শ্রীশ্রী রাধাবিনোদ কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী রঘুনাথ চৌধুরী। অতিথি ছিলেন চন্দন ধর, আজিজুর রহমান আজিজ, ফরহাদুল ইসলাম চৌধুরী, রনি পালিত, উমাশ্রী চৌধুরী, বিভ‚তি শীল, ছোটন দাশ, রোজি দাশ, মিরা মিত্র, রতন চৌধুরী, লায়ন দীপক চৌধুরী, বাবুল দেব রায়, অলকেশ দাশ, কাঞ্চন চৌধুরী, শ্রীকান্ত দাশ, সৈকত রায়, শিপ্লব দাশগুপ্ত, লিটন সেন, ওম প্রকাশ দাশ, তমিত রায় পুরোহিত, ডা. উজ্জ্বল চক্রবর্তী, ডা. অজিত নাথ প্রমুখ।

পাথরঘাটা পূজা পরিষদ : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, দুর্গাপূজার মূল শিক্ষা হচ্ছে, নিজের বোধ শক্তিকে উন্নত করে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করা। এই পূজার মাধ্যমে আমরা নিজেদের সব অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকার শিক্ষাও পাই। দেবী দুর্গার আরাধনায় সকল অশুভ শক্তি বিনাশ হয়ে শুভ শক্তির অভ্যুদয় ঘটুক-এটাই হোক সবার প্রার্থনা। তিনি গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় নগরীর পাথরঘাটা পূজা উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত দেবীপক্ষের শুভ মহালয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পাথরঘাটা পূজা পরিষদের সভাপতি অ্যাড. গোপাল দাশ টিপুর সভাপতিত্বে ও দুর্জন রায় চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন রাধাগোবিন্দ শান্তনেশ্বরী মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ শ্যামল সাধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি অনুপ বিশ্বাস, পাথরঘাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুকান্ত চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাবন্ধিক উত্তম কুমার চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন পাথরঘাটা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন বিশ্বাংগ্রী। বক্তব্য দেন পরিষদের সহ-সভাপতি রণি বিশ্বাস, কাজল কান্তি সিংহ, রানা দাশ, তুষার দাশ, রনি দাশ, হৃদয় দাশ, শিপন দাশ, অজয় দাশ, প্রথম দাশ, দুর্জয় দাশ, সময় দাশ প্রমুখ।

শাপলা সাংস্কৃতিক সংঘ : বন্দর থানার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ১নং সাইড হিন্দু পাড়ায় শাপলা সাংস্কৃতিক সংঘ পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যেগে পূজা প্রাঙ্গণে মহালয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে ভোর ৫টায় হোমযজ্ঞ ও চন্ডীপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সূচনা হয়। বিকেল ৪টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি, সন্ধ্যায় আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি উত্তম দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর সুকান্ত ভট্টাচার্য। বিশেষ বক্তা ছিলেন পÐিত অর্নিবাণ ভট্টাচার্য, ড. অঞ্জন কুমার দাশ, উপাধ্যক্ষ স্বরূপ দাস। বক্তব্য দেন অশোক চৌধুরী, রাজীব দত্ত, লিংকন দে, কৃষ্ণ দাশ, লিমন দে, প্রিয়লাল দে, উজ্জ্বল দেবনাথ, সুমন শর্মা প্রমুখ। উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ইন্দু নন্দন দত্ত। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি