মমতাজের গান ও নূরের আবৃত্তিতে সংসদে পদ্মাসেতুর উদ্যাপন

8

পূর্বদেশ ডেস্ক

সংসদ অধিবেশনে আবৃত্তি আর গানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদ্যাপন করলেন সরকারি দলের দুই সংসদ সদস্য।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় পদ্মা সেতু এবং সরকার প্রধানকে নিয়ে আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর ও মমতাজ বেগম।
দেশের জনপ্রিয় লোক সংগীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রথমে গেয়ে শোনান, ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা যার তুলনা নাই/এমন একজন নেত্রীর জন্য আমি দোয়া চাই’। মমতাজ তার বক্তব্যে বিএনপির সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করেন। আলোচনার এক পর্যায়ে মমতাজ বলেন, ‘এখন নারীরা শাড়ি-গয়না চায় না’। এরপর তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘চাই না গয়না, চাই না শাড়ি/নৌকাতে ভোট না দিলে, যাব চলে বাপের বাড়ি’।
স¤প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মমতাজ বলেন, ‘সেখানে আমার পাঙ্খা পাঙ্খা গানের সাথে একটা মেয়ে খুব সুন্দর নাচছিল। অনুষ্ঠান শেষে মেয়েটি আমার সাথে সেলফি তুলতে এলে আমি বলেছিলাম, তুমি কী নাচ শিখেছ? মেয়েটি আমাকে বলে, ‘আপনি আমার বাবাকে চিনবেন। তিনি আপনার কলিগ’। আমি জানতে চাইলাম, কে? মেয়েটি জানাল, তার বাবা হারুনুর রশীদ সাহেব (বিএনপির সংসদ সদস্য)’।
এ সময় সংসদে হাসির রোল ওঠে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এ সময় হাসতে দেখা যায়।
সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিএনপির হারুনুর রশীদের কোরআন ও হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মমতাজ বলেন, ‘আমরাও কোরআন-হাদিস পড়ি। ছয়টি হাদিস গ্রন্থ আমি পড়েছি। আমি, আমার মা-বাবা হজ করেছি। এগুলো ধারণ করার বিষয় প্রকাশ করার নয়। আমার বাবা বাউল। আমরা ধর্মভীরু। ধর্মান্ধ নই’।
বক্তব্যের শেষের দিকে বিরোধী দলের দিক থেকে মমতাজকে আরো একটি গান গেয়ে শোনানোর অনুরোধ করা হয়। মমতাজ তখন বলেন, ‘আরে, আপনি শুনতে চেয়েছেন, গাইব না?’
এরপর তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘সবার আগে চিন্তা করলো শেখ হাসিনার সরকার/যাতায়াতের উন্নয়নে পদ্মা সেতু দরকার’।
এর আগে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর তার বক্তব্যের শেষে কবি কামাল চৌধুরীর ‘পদ্মা সেতু’ কবিতা থেকে কিছু অংশ আবৃত্তি করেন। ‘আমাদের এই গল্প/ শেখ হাসিনার হাতে এখন/ইতিহাস হয়ে গেছে,/বহু বছর পরে আরেকটি বিজয় পার হয়ে যাচ্ছে/ খরস্রোতা পদ্মা/ নৌকা, ভাটিয়ালি, ফেরিঘাট, জাহাজের ভেঁপু ছুঁয়ে ছুঁয়ে স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দুই তীরের বন্ধন’