মনসুর আজিজ’র আত্মধ্যানের আসন’ জাগতিক ভ্রষ্টতাকে তাড়ানোর গ্রাফচিত্র

33

কবিতা এক শিল্পের নাম। কবিতা প্রাণের সঞ্চার সৃষ্টি করা এক জাগতিক ললিপপের নাম। কবিতা ইচ্ছের কাছে নতজানু হতে না জানা এক বহুরৈখিক লীলার নাম। কবিতা মানুষের বিশ্বাসের জায়গায় সদ্য সন্তান জন্মদেয়া নারীর জরায়ু বড় হওয়ার মতো এক উপাদানের নাম। বেদনার সব দহনক্রিয়ায় বসে কবিতা হাসি দেয় বাঁচতে জানার হাসি অথবা নরকের লেলিহান শিখার প্লেটে চড়ে কবিতা ঘোষণা দেয় মানবতাবোধ জয়েরবাণী।
কবিতার একটা সরলকৌণিকতা আছে। যে সরলের পাঠ চুকে কবিতা হয়ে যায় নারীর দেহ ঢেকে রাখা এক মসলিনকাপড়। কবিতার বাহাদুরি আছে। আছে বিষাদের ঢেউ জাগানিয়া বিশালস্রোত। যে স্রোতে চড়ে কবিতা সময়,যাপনক্রিয়া,লীলাবতির ইচ্ছে সোহাগ এবং বোধের চরাচরে বাঁচতে জানার একমন্ত্রকৌশল শিক্ষা দেয়। কবিতার সম্মোহনিতার জায়নামাজ বড় বিশাল। এ বিশাল ছাদে বসে কালে কালে কবিতাই বলেছিল প্রয়োজনের কথা।
আজ লিখতে বসেছি কবি মনসুর আজিজ এর ‘আত্মধ্যানের আসন’। আহ! কী চমৎকার শিরোনাম। সব দায়দায়িত্ম আজ কবির ঘাড়ে। তা না হলে কী এমন শিরোনাম কবি দিতে পারে! কবিও মানুষ বলে নবিদের মতো মানুষের কথা বলে, প্রাণ সঞ্চারের কথা এবং বিশ্বাসের পরিধির কথা বলে। নবিদেরকে মানুষের বিশ্বাস – অবিশ্বাস এবং বহত্ববাদের পরিবর্তনের ত্রাতা হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর মানুষদের পাঠানো হয়েছে খলিফা করে। তারই অংশ হিসেবে কবিদের কাজ হচ্ছে মানুষের বোধের জায়গা প্রসারিত করা এবং সঠিক কথা বলার চেতনাকে জাগ্রত করা । এমনটাই যেন আমাদের বোধের বিশ্বাস। কিন্তু কবি ও সম্পাদক মনসুর আজিজ সে বোধের নাড়া দেয়ার মানস নিয়েই যেন কবিতায় ‘আত্মধ্যানের আসন’ বসিয়ে পাঠককূল এবং সমাজের মানুষের জংধরা বিবেকে নাড়া দিতে হাত পাকিয়েছেন। কবির চোখে ধরা পড়া অসঙ্গতিতে কবি যে ভাষা ধ্যান করার চেষ্টা করেছেন তাই বলবার সাহসই আজকের এই লেখাটি। কবি এ সমাজের বসবাস করা এক সচেতন নাগরিরকই বটে। যে সমাজে কবির বসবাস সে সমাজ চলছে নারীর শাসন প্রক্রিয়ায় নারীর ক্ষমতায়নের এক শৈল্পিক চাষ। যে চাষে নারীরা লাঞ্ছিত হয়েই চলেছে।তাই কবি বলেছেন –
নারী এক চড়ুইছানা!
সম্ভ্রম বাঁচাতে ছুটছে এই কার্নিশ থেকে ওই কার্নিশে!
কোথাও নেই তার এতটুকু আশ্রয়!
(আত্মধ্যানের আসন -আমার ভিতরে, আমার বাহিরে)
কবি এ কবিতাটির শেষ স্তবকে উপচেপড়া এক যাতনার কথাই বলবার চেষ্টা করেছেন। কবিতাটিতে কবি সমাজে ঘটে থাকা নিত্যঘটনার চিত্রতুলতে এক পর্যায়ে এসে থিতু হয়েছেন নারী নির্যাতনের পাঠশালায়। যে পাঠশালার ছাত্র শিক্ষক আজ যেনো জাগতিক ভোগের সাথে কামলীলায় পাল্লা দিয়ে বীর দর্পে খেয়ে চলেছেন অযাচিত রক্ত। যে রক্তের ফেনায় বা ছোপ ছোপ দাগে লেগে থাকে না মানবতাবোধ। ওল্টো লেগে থাকে কামস্যঠোঁটের চিত্রগ্রাপ। কবির ভাষায়-
‘আমার ভিতর দেখি না আমাকে
অন্য মানুষ জেগে ওঠে কামের আগুন জ্বেলে বুকে
তেরোশত নদী পারে পড়ে আছে কিশোর -নারী
এমনকি শিশু ও যৌবনহীনা মায়ের ক্ষত-বিক্ষত দেহ
ধর্ষক দলের সাথে আমিও গিয়েছি মিশে
(আত্মধ্যানের আসন -আমার ভিতরে, আমার বাহিরে)
ঠিক আরেক জায়গায় নারীকে কতভাবেই না পূজার আসনে বসিয়ে কামের চোখে রাম বাবুরা ভোগের লালস্যে এনে করে ছারখার। তা যেন মানছে না কোনো মনুষত্বের রুপ বা পৃথিবীর রং। সব যেনো এক লীলাবতির বাসরখানা হয়ে উঠছে ভোগের আয়নায়। কবি ‘জগৎ লুকানো মুখ’ বলেন –
পূজারি তোমার দুয়ার কেনো গো খোলা
চোখ-কান-মুখ দেখি কেনো ফোলাফোলা
ভাবো যাকে তুমি ভগবানসম সেইজন নরপশু
হোক না সে জন ভট্টাচার্য, চৌধুরী-রায়- বসু।
আজ কারো মনন ধ্যান ঠিক নেই। সব ধ্যান যেনো আজ কামের খায়েসে ভরে উঠেছে। নরপশু হতে হতে বাবার হাতে যেমন মেয়ে নিরাপদ থাকছে না তেমনি আজ নব্য পশুত্ব বেড়ে চলছে, নারীর হাতেও আজ ছেলে বুড়ো নিরাপদ হতে পারছে না। ভোগের খায়েস জাগলেই হায়েনারের মতো ছলাকলা কৌশলে আত্মস্থ করেই পিপাসার ঢেউক মেটায়। সব যেন বন্যতাকে হার মানিয়ে চলেছে।
কবি আসলেই বুঝতে অবকাশ রাখেননি যে, কবি সমাজের সব স্তরের মানুষের ধর্ষণ তথা কামস্যঠোঁটের পুরো চিত্র নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। যে দেশে বা যে সমাজে কোনো পেশার মানুষের কাছে আজ নারী নাম্নীয় তরলপদার্থের কোনো ধরণের মুক্তি নেই। বয়সের কোনো বাঁধসাদ নেই। লালস্য কামনা জেগে ওঠলেই কাম সেরে নেয় মনজিদ কিংবা মন্দিরে কিংবা নর্দসার বিষবাস্পে। যা লেখককে ভাবিয়েছে।
কবি সময় এবং সমাজ নিয়ে যেমন সচেতন তেমনি সচেতন কবি রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েও। যে রাজনীতি ছিল ভদ্রলোকের পোষাক, শিক্ষিত লোকের আচার এবং নিজের টাকায় পরের মোষ চড়ানো। অথচ আজ রাজনীতিটা এতটাই কলুষিত
যে, এ সময়ের শিক্ষিত ও সময় সচেতন জেনারেশন মাথায় নিতে চায় না। যা আজ অভিশাপের ছায়া নিয়ে দন্ডায়মান। তাই কবির ভাষায়-
রাজনীতি বাজিকরের হাতের ডুগডুগি
বাজালেই জুটে যায় নির্বোধ দর্শকের দল
তারপর চটুল কথায় মোহগ্রস্ত হয়ে ঘরে ফিরে সর্বশান্ত হয়ে
(আত্মধ্যানর আসর -সুখ স্বপ্নের নর্তকী)
আদ্ দুনিয়ায়ু মাজরাতুল আখেরাহ অর্থাৎ (দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের শস্যক্ষেত্র) এ বিশ্বাসে যে কোনো বিশ্বাসী মানবের দিন কাটবেই। তবে এটা সকল আত্মসমর্পনকারী মানব মানবীর জন্য প্রযোজ্য। কতগুলো চরিতযাপনের শোকেসে বসেই মানুষ সম্মুখে পা বাড়াবে। ধারণার শোকেসের চেয়ে বাস্তবতার আলমারিটা যদি করা যায় আরো পরিপাটি তাহলে সমাজের চিত্র ধারণ করবে পরিগ্রহ রুপ। যে রুপে মুদ্রার এ পিট ওপিট প্রকাশ পেলে মুদ্রার ব্যবহার নিশ্চিত হওয়া যায়। কবি মনসুর আজিজ ‘মানুষখানা’ নামক একটি কবিতায় ভেতরের যন্ত্রণার কথা বলতে চেয়েছেন। যদিও তা সত্যতা খুঁজে বেড়াবে। কবি বলেন-
“কতগুলো বাদুড় ডানা ঝাপটায় আদালতে, চুষে খায় মানুষের রক্ত
কালো আলখেল্লায় পূর্ণ করে পশুত্বের কলস
চোখের পলকে রায় লেখে দাঁতাল শকুন
শরীরের মাংস খাবলে নিয়ে জমা করে এজলাসে
মাংসাসী পাখিদের দল উড়ে উড়ে গান গায় আদালু অঙ্গনে”
(আত্মধ্যানের আসন- মানুষখানা)
কবিতাকে প্রাণ বলে অনেক কবি ও পাঠক ধারণা করে থাকে। তবে প্রাণের দোলায়মান চিত্তই হচ্ছে কবিতার প্রাণ। প্রাণের সঞ্চরণক্রিয়ার ঘরে কবিতার দ্যুতিময়তার প্রভাবে কবিতা মাঝে মাঝে হয়ে ওঠে একজন ব্যক্তি, একটি সমাজ, একটি রাস্ট্র এবং একটি জাতিগোষ্ঠি। কবিতার এমন শক্তির প্রাণগুলো গান ধরায় স্বপ্নের এবং জীবনের। সেই কবিতার ভেতর বাক্স খোলে কবি মনসুর আজিজ এঁকেছেন এক আল্পনা। কবিতার ভেতরেই দোল খায়। কবির ভাষায়
বাংলাদেশের জনগণ যেন হ্যান্ডকাপ পরা বৃদ্ধ কয়েদি
পায় পায়ে দাগি আসামী বেড়ী
পুলিশের নির্যাতনের চিহ্ন উইঢিবির মতো ছড়িয়েছে চারদিকে
র‌্যাবের রিমান্ডের দাগ লেগে আছে থকথকে শরীরে
পায়ের আঙ্গুল থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত”
(আত্মধ্যানের আসন- বাংলাদেশ)
অথচ অতীত এক কবির একটি লাইন ছিল এমনই – “এমন দেশটি কোথাও খোঁজে পাবে নাকো তুমি”
আজ সে দেশটির যত্তসব অযাচিত প্রশাসনিক কর্মকাÐ সাধারণ জনগন যেমন অতীষ্ট তেমনি একজন তারচেয়ে বেশী অতীষ্ট। তার প্রশাণ ‘বাংলাদেশ’ কবিতাটি। কবি চেয়েছিলেন এদেশটিতে মানুষের ভালোবাসার চাষ হবে কৃষাণের ফসলের চাষের মতো। সূর্যের হাসির মতো অপার সৌন্দর্যে দেশটা হয়ে উঠবে অমিত সম্ভবানার বাংলাদেশ। একজন কবিতো লাঠিয়াল বা বন্দুকধারী হতে পারে না। তাই কবি মনসুর আজিজ একজন মসিয়াল হতে গিয়ে কলমে তুলে নিলেন পৃথিবীর সেরা তলোয়ার। যে তলোয়ার সামুরাইর মতো উভয় পিঠ ধারালো। ঠিক কবির ভাষায়-
মনকলম তবুও লিখে চলে বিপ্লবের চিঠি
উন্মুল যুবকের বুকের উপর সেঁটে দেয় দ্রোহের কবিতা
বিভোর স্বপ্নে উঁকি দেয় উদ্দীপ্ত সকাল
লাল- নীল – হলুদ প্রজাপতি।
(আত্মধ্যানের আসন – উদ্দীপ্ত সকাল)
কবি তিনটি জটিল রঙের মিলন ঘটাতে প্রজাপতিকে বেচে নিয়েছে। যদিও সাদা রং টা নিতে পারতেন। কিন্তু সেটারও বিশেষত্ব রেখে শক্ত থাকা ওই তিনটি রঙে স্বপ্ন পূরণের ফানুস উড়াতে চেষ্টার বীজ বুনে দিলেন। এ জায়গায় কবিতার সফল।
কবি মনসুর আজিজ ধ্যানের আসন জমাতে গিয়ে কত আসনই না আবিস্কার করেন। কবিরা পূজারি হয়। সব ভ্রষ্টাতাকে তাড়ানোর পূজারি।যে পূজারি হতে পারলে পরে কবি র ধ্যান পায় পূর্ণতা। কবিরও একটা নিজস্ব ধ্যান আছে যে ধ্যানে বসে কবি কুয়াশার কাছে আশ্রয় খোঁজেন। কবিদের ভাবনা সবসময় একটু পিকোলিয়ার হয়ে থাকে। তা না হলে কবির পার্থক্য বুঝা বড় দায়। কবির ‘ভগ্নাংশ সিরিজ -৫ ’ এর পদাবলি গুলো যেন একেকটা বুলেটের বারুদ। আসলেই চিরায়ত জীবনের সব ঘর যেন আজ ভাংছেই অনিয়মের খোলস পরে। যে খোলসে মানবতা সাঁতার কাটতে চাইলেও পারিপার্শ্বকতা তাকে কূলে আসতে দিতে চায় না। ‘বাণী’ নামক সিরিজের ভাষ্য হলো
বিচারের বাণী নিভৃতে বসে কাঁদে
জনতা পড়েছে ভীষণ বিপদ ফাঁদে
দাঁড়াবার কোনো অভয় আসন নাই
তোমরাই থাকো সুখভোগে আহ্লাদে।
এ সময়ের কঠিন বাস্তবতাকে ধরতে চেয়েছেন মাত্র চারলাইনের কবিতায়। কবিরাই পারেন একজনমের সব দুঃখ ভরে দিতে এক বয়ামে।
সময়ের এতো অযাচিত দহন দেখেও কবি তার মানসকে স্বপ্ন দেখাতে ভুল করেন নি। আসলে কবিদের এমনই হতে হয়। কবি আল মাহমুদ প্রায় বলতেন – ‘কবিরা স্বপ্ন দ্রষ্টা’। কবি মনসুর আজিজও এতো কিছুর পরও স্বপ্ন বাঁধতে বা দেখতে ভুল করতে চাননি।কবির ভাষায়-
স্বপ্নকে যদি জাগাতে চাও মনে
নীরব বাগানে বাতাসের দাও দোলা
দেখবে কেমন ফুরফুরে থাকে মন
তুমিও তখন উচ্ছল প্রাণখোলা।
(স্বপ্ন- ভগ্নাংশ সিরিজ ৫)
চারটি লাইনের ভেতর কবি যে স্বপ্নের বীজ দেখালেন এইটুকু যদি পাঠক আত্মস্থ করতে পারে আশা করা যায় কবির ধ্যান পূর্ণতা পাবে। পাঠক স্বপ্নের কাছাকাছি বাস্তবতা খুঁজে পাবে। পাবে মনবাগানের এক বিশাল মরুদ্যান। যে মরুদ্যানে খুঁজে পাবে ভবিষ্যেতের এক নব্য নিউরন। প্রথমে বলেছিলাম, কবিতার সম্মোহনির কাছে ধরা দিতে জানলে ধ্যান পূর্ণতা পাবে নিশ্চিত।
কবির বেশ কিছু সুখপাঠ কবিতা আছে, যেগুলোতে উপমার ব্যবহার কবিকে পাঠকের কাছে ভিন্ন স্বাদ জোগাবে। যেমন –
প্রণয় তবে কি অশ্রæর মালা গড়ে/ প্রেমও অবুঝ দুজনার হাত ধরে/চরাচর জুড়ে আলো আঁধারের খেলা/মনবনে ঢুকে কেটে যায় সারাবেলা।
(প্রেম ও প্রণয়
ঠোঁটে ঠোঁট ঘঁষে পাখি পেখমে পেখম/ বৃথাই বালিশ ঘঁষে নারীর শরম/ আদম যখন খোলে হাওয়ার পোশাক/ তোমার বসন খুলে লেগে যায় তাক।
(ঠোঁটে ঠোঁট ঘঁষে পাখি)
আঁচল যদি দোলায় তোমার ধানের দোলও লাগে
সেই দুলুনি ছড়িয়ে পড়ে লাল সুপারির বাগে
নাকের নথও জ্বলে ওঠে কুমারী রোদ পেয়ে
বীজ বুনে চায় নওল কিষাণ পৌষালী গান গেয়ে।
(ভাটির দেশের মেয়ে ওগো)
অথবা
এসো বন্ধু কুয়াশা!
তুমিও আমাকে জড়িয়ে ধরো,যেমন জড়িয়ে থাকো সুউচ্চ পাহাড়কে/ বৃক্ষের পাতায় তোমার আলিঙ্গন যেমন,আমার অঙ্গে তোমার পিরিতি হোক সেইরুপ।
(কুয়াশার উচ্ছ্বাসকে জানাই স্বাগতম)
অথবা
‘ফাটা ডালিমের রঙিন দানার মতো নতুন বউয়ের লাজভাঙা হাসি ছড়িয়ে পড়ে/ সঙ্গীদের চোখে কামুক আগুন নেই।
(মৃত্যুর বারান্দা)
কবির অসাধারণ এ কাব্যগ্রন্থটি কবিকে এনে দিয়েছে ভাবের বারান্দার নতুন সওদা। যে সওদা যে কোনো লেখক তথা কবির কাম্য না হলেও আসা উচিত। কবির প্রেরণা বেড়ে যায়। স্বপ্নের চাষ বেড়ে ওঠে। ফষলের ভারে কবির শিরদাঁড়া শক্ত হতে থাকে। কবির ছন্দজ্ঞ্যান এবং অন্ত্যমিলের যথেষ্ট পরিপক্ততা আছে। তবে দু এক জায়গায় অতিকথন না হলেও কবিতাটি কবিতাই থাকতো।হয়ত গতিশীলুাকে আঁটকাতে চাননি বলে বলেই গেছেন ধ্যানের আসনের টানে। যদি ধ্যানে কোনো ছেদ না পড়ে হয়ত সে আশায়। এ রকম দু একটি কবিতা ছাড়া এবং অল্প যতি চিহ্নের অব্যবহারেও বাক্যের স্বাদ হারিয়েছে দু এক জায়গায়। যদিও তা গদ্য কবিতার ঢঙে পার পেয়ে গেলেও বোদ্দা পাঠকের চোখ এড়ানো সম্ভব হবে না। এ ছাড়া পুরো বইটিতে সুখআস্বাদন বেড়েছে।বেড়েছে কবির আরো কবিতা পাঠের সাধ।