ভ্যাকসিন বৈষম্যে হতবাক ডব্লিউএইচও প্রধান

57

ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণে হতবাক করা বৈষম্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস। প্রতিটি দেশে গতকাল শনিবার নাগাদ যে পরিমাণ টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো তা অর্জিত হবে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণে সমতা আনার জন্য দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছে ডব্লিউএইচও। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করা কোভ্যাক্স কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে ডব্লিউএইচও। এই কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় একশ’টি দেশে তিন কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯০টি দেশে দুইশ’ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের আশা করছে কোভ্যাক্স। বিশেষ করে ৯২টি দরিদ্র দেশে ধনী দেশগুলোর মতো একই সময়ে একই পরিমাণ টিকা নিশ্চিত করতে চায় কর্মসূচিটি। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহে হতবাক করার মতো বৈষম্য রয়েছে। উচ্চ-আয়ের দেশগুলোতে প্রতি চার জনের মধ্যে এক জন করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছেন। নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে এর পরিমাণ প্রতি পাঁচশ’ জনে এক জন।’ মার্চের শেষ নাগাদ অন্তত দশ কোটি ডোজ টিকা বিতরণের পরিকল্পনা ছিলো কোভ্যাক্স কর্মসূচির। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে মাত্র তিন কোটি ৩৮ লাখ ডোজ সরবরাহ করা গেছে। ড. টেড্রোস বলেন, ‘আমরা আশা করছি এপ্রিল ও মে মাসের লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করতে পারবো।’
কোভ্যাক্স কর্মসূচির বাইরে টিকা পেতে যেসব দেশ নিজেরা চুক্তি করছে তাদেরও সমালোচনা করেন ডবিøউএইচও প্রধান। তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ ও কোম্পানি নিজেদের রাজনৈতিক কিংবা বাণিজ্যিক কারণে কোভ্যাক্স এড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করছে।’ এইসব চুক্তি ভ্যাকসিন বৈষম্য বাড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে বলে জানান তিনি। ড. টেড্রোস বলেন, ‘ভ্যাকসিন সরবরাহের এই ঘাটতি ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদের দিকে ধাবিত করছে।’