‘ভেঙে পড়ার মুখে’ ব্রাজিলের বৃহত্তম শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

37

নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি শয্যার সঙ্কট দেখা দিতে পারে এবং এতে সাও পাউলো শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের বৃহত্তম শহরটির মেয়র। সাও পাউলোর সরকারি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতার ৯০ শতাংশ রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালগুলোতে আর কোনো জায়গা থাকবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্রæনো কোভাস। লকডাউনের নিয়মকে যারা বিদ্রæপ করছেন তারা জনগণের জীবন নিয়ে ‘রাশিয়ান রুলেত’ খেলছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি, জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রাজিলের সবচেয়ে প্রাদুর্ভাব আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে সাও পাউলো অন্যতম। এখানে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ প্রায় ৩ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। সাও পাউলোর জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। শহরটির অধিকাংশ বাসিন্দা সামাজিক দূরত্ব বিধি মানছেন না, সরকারি পরিসংখ্যানে এমনটি দেখা গেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। শনিবার স্পেন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭ হাজার ৯৩৮ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এতে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সোমবার দুপুরে হালনাগাদ করা তথ্যে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের পরই আছে ব্রাজিল।
লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ৪৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাতে মৃতের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ১২২ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যায় দেশটি বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ স্থানে আছে। পরীক্ষা কম হওয়ায় ব্রাজিলে নিশ্চিত আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি রেকর্ড থেকে আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ব্রাজিলের চরম ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো বাড়তে থাকা করোনাভাইরাস সঙ্কট যেভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন তা নিয়ে দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বিধির বিরোধিতা করে আসছেন তিনি।