ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে গলায় ফাঁস নিলেন প্রবাসীর স্ত্রী

53

পেকুয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় নাজমা সোলতানা ববি (২২) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ববির শ্বশুর বাড়ির লোকজন ববি আত্মহত্যা করেছে বলে জানালেও তা মানতে নারাজ নিহত ববির মা-বাবা। এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেছেন তারা। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভারুয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে প্রবাসী আবুল কাশেমের সঙ্গে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ৩নং ঘোনা মগনামা পাড়া এলাকার ছৈয়দ মিয়ার মেয়ে নাজমা সোলতানা ববির ২৮ মাস পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ১৪মাস বয়সী আইয়ান নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের পিতা ছৈয়দ মিয়া বলেন, ববি দাম্পত্য জীবনে কয়েক মাস সুখে থাকলেও যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এরই মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম নেয় এক ছেলে সন্তান। এই ছেলের দিকে চেয়ে মেয়েটি সংসার করছিল। প্রতিনিয়ত পারিবারিক কলহ ও যৌতুকের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মোবাইলে ঝগড়া হত। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে আমার বাড়িতে আসতে দেয়নি।
নিহতের চাচা গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেয়ের জামাই কাশেমের পরিবার মোটা অংকের যৌতুকের দাবিতে ববিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
প্রবাসী কাশেমের মা ছমুদা বেগম(৫০) বলেন, বুধবার রাতে ববি আমার ছেলের সাথে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে গলায় রশি প্যাঁচিয়ে ঘরের চালে ঝুলে আত্মহত্যা করে। গত কিছুদিন আগে ববি বাপের বাড়ি থেকে এসেছে। কি কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে আমি জানি না।
পেকুয়া থানার এসআই মিন্নাত আলী বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, মেয়ে ও ছেলে পক্ষের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে এসেছে। হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।