ভারী বর্ষণে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস কার্যক্রম ব্যাহত

22

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা ভারী বর্ষণে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল শনিবারও ভারী বর্ষণের কারণে বন্দরের বর্হিনোঙরে বাল্ক কার্গো (খাদ্যপণ্য বোঝাই জাহাজ) থেকে পণ্য ওঠা-নামা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের অন্য সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈরী আবহাওয়া ও টানা বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজে (মাদার ভেসেল) আমদানি করা খোলা পণ্য লাইটার জাহাজে খালাস ঝুঁঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে পণ্য ওঠা-নামা ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার লাইটারে এসব জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা করা হবে। তবে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজে কন্টেইনার লোড-আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দরে লাইটারেজ জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডবিøউটিসি) নির্বাহী পরিচালক মাহববু রশিদ বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে মাদার ভেসেল থেকে খাদ্যদ্রব্য খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গত তিন-চার দিন ধরে বন্দরের বর্হিনোঙরে আসা জাহাজ থেকে পরিমিতভাবে এসব পণ্য খালাস করা যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে খালাস কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। আবার বৃষ্টি থেমে গেলে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। এভাবে খালাস কার্যক্রম চলছে। কারণ বৃষ্টিতে খোলা পণ্য খালাস করলে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই খালাস বন্ধ রাখতে হয়। এছাড়া বর্হিনোঙরে আসা মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসে শনিবার ৪০টি জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, যেসকল জাহাজে বাল্ক কার্গো রয়েছে, সেসকল জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। এসব জাহাজে চাল, গম, ডাল, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। তাই বৃষ্টিতে এসব পণ্য খালাস করা হলে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ভারী বর্ষণে পণ্য খালাস বন্ধ থাকে। তবে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজের কন্টেইনার লোড-আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।