‘ব্ল্যাকআউট’ কেন হয় ?

8

পূর্বদেশ ডেস্ক

রাজধানীসহ দেশের একটি বড় অংশে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে ছিল না বিদ্যুৎ। গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪ মিনিটে একটি গ্রিড লাইনে সমস্যার কারণে এই অঞ্চলে ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটে।
ব্ল্যাকআউট বা সারা দেশে একসঙ্গে বিদ্যুৎ বিপর্যয় কেন ঘটে- এমন প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত ফ্রিকোয়েন্সি গরমিলের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। বিদ্যুৎ যে তরঙ্গে প্রবাহিত হয়, কোনো কারণে এর হেরফের হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সাধারণত মিলি সেকেন্ডের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। এমন ঘটনা প্রতিরোধ করার মতো নানা ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও বিভিন্ন দেশে মাঝে মাঝে গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো সঞ্চালন লাইনে হয়তো একসঙ্গে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে। যদি কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে এর দশ ভাগ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে গ্রিড ট্রিপ (বিপর্যয়) করার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।
বাংলাদেশে ৫০ মেগা হার্টজ তরঙ্গে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। কোনো কারণে এই তরঙ্গ যদি ৪৮-এ নেমে আসে বা ৫২-তে উঠে যায়, তাহলেই ট্রিপের ঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে ২০১৪ সালে যখন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল তখন ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা কয়েক মিলি সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এতে জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করে।
একবার গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়। বড় বিপর্যয় ঠেকাতে কেন্দ্রগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকে। বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হলে কারিগরি কারণে সেটি চালু হতে সময় লাগে। ফলে চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় না।
জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আজ কেন এই ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনও আমরা জানতে পারিনি। তদন্ত করার আগে এটি বলা সম্ভব নয়। তবে ফ্রিকোয়েন্সিতে গরমিল হলেই এটি হতে পারে। ফ্রিকোয়েন্সিতে গরমিল নানা কারণে হয়। কোথাও সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে বা হুট করে কোথাও থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে এমন হতে পারে। গ্রিড লাইনের কোনো একটি অংশ কোথাও বিকল হয়ে গেলেও এটি হতে পারে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের