বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ‘যৌক্তিক’ করার উদ্যোগ

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইচ্ছামতো ফি আদায় বন্ধ করতে চাইছে সরকার। ‘টিউশন ফি’ ‘যৌক্তিক পর্যায়ে’ রাখতে একটি নীতিমালা করার উদ্যোগের কথা সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এজন্য সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই কাজ শেষ হলেই সরকার সিদ্ধান্ত জানাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নটি টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
মন্ত্রী জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৯ (৪) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে ন্যূনতম তিন শতাংশ মেধাবী অথচ দরিদ্র শিক্ষার্থীকে ফি ছাড়াই পড়তে দেওয়ার বিধান আছে। এ কারণে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচে লেখাপড়া করতে পারছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজার ৩১৬টি। এর মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) ২ হাজার ৩৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে দশম) ১৬ হাজার ৫১৬টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ এক হাজার ৪৪৩টি।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি জানান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে আলিয়া মাদ্রাসার সংখ্যা ৯ হাজার ২৯২টি। এর মধ্যে সরকারি মাদ্রাসা তিনটি, এমপিওভুক্ত ৮ হাজার ২২৯টি এবং ননএমপিও মাদ্রাসা ১ হাজার ৬০টি। স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে ৮ হাজার ৯৭২টি।
নকশা অনুমোদনে রাজউকে অনলাইনে ৩৪ হাজার আবেদন
অনলাইন সেবা চালুর সাড়ে তিন বছরের কিছু বেশি সময়ে রাজধানীতে ভবনের নকশা অনুমোদন করতে রাজউকে ৩৪ হাজার ৩৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৯৩৩টি আবেদনে সাড়া দিয়েছে সংস্থাটি। আরও প্রায় চার হাজার আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। অল্প কিছু আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শরীফ আহমেদ। ভবনের নকশা অনুমোদনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ২ মে থেকে অনলাইন সেবাটি চালু করে। খবর বিডিনিউজের
মন্ত্রী জানান, ৩ হাজার ৮৫৯টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল না করার কারণে ৭ হাজার ১৬৪টি আবেদন আবেদনকারীর আইডিতে পাঠানো হয়েছে। নানা অসঙ্গতির কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ৮১টি আবেদন।