বৃষ্টিতে স্থবির মুম্বাই, নিহত ২৮

32

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইসহ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টিতে দেয়াল ধসের ঘটনায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোররাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সময় এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এনডিটিভি। মুম্বাইয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে এ দিন ট্রেন ও বিমান চলাচলে বিঘœ ঘটে, সড়কপথ পানিতে তলিয়ে যায়।
এ পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষগুলো মুম্বাইয়ের সরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে; তবে শহরের মার্কেটগুলো খোলা আছে। মঙ্গলবার ভোররাতে মুম্বাইয়ের মালাড ইস্টে পাহাড়ি ঢালের কয়েকটি খুপড়ি ঘরের ওপর একটি সীমানা দেয়াল ধসে পড়ে ১৯ জন নিহত হন বলে জানিয়েছেন এনডিটিভি। “উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। আমরা এ পর্যন্ত দুই ডজনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করেছি,” বলেছেন তিনি। মুম্বাইয়ের ৪২ কিলোমিটার উত্তরে থানে শহরের কল্যাণ এলাকায় একটি স্কুলের দেয়াল ধসে পাশের দুটি বাড়ির ওপর পড়লে তিন বছরের এক শিশুসহ তিন জন নিহত হন।
মুম্বাইয়ের পশ্চিমে পুনে শহরে একটি দেয়াল ধসে ছয় জন নিহত হন বলে দমকলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার একই ধরনের আরেকটি ঘটনায় শহরটিতে ১৫ জন নিহত হয়েছিল। মুম্বাইয়ের কয়েকটি এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এতে সড়ক, রেলপথ জলমগ্ন হয়ে যায়। পানিতে রেলপথ ডুবে যাওয়ার পর বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ও দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পূর্বসতর্কতা হিসেবে মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। শহরটির বাসিন্দাদের বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
এক টুইটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেভেন্দ্র ফাডনাভিসের দপ্তর বলেছে, “আবহাওয়া দপ্তর আজও (মঙ্গলবার) ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে শুধু জরুরি সার্ভিসগুলো চালু থাকবে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবারও শহরটির সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে বলে রাতে এক নির্দেশে জানিয়েছেন মিউনিসিপাল কমিশনার। সোমবার রাতে মুম্বাই বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় স্পাইসজেট এয়ারলাইনের একটি উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণ হারায়। তবে এতে জয়পুর থেকে আসা উড়োজাহাজটির কোনো আরোহী আঘাত পাননি।
যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দরটির মূল রানওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় আরেকটি রানওয়ে থেকে বিমান ওঠা-নামা অব্যাহত থাকলেও এতে সময় বেশি লাগছে। এখান থেকে ৫৪টি ফ্লাইটকে বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।