বাড্ডায় পিটিয়ে হত্যার ঘাতক হৃদয় গ্রেপ্তার

25

এই তরুণকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। এই ঘটনার মূল আসামি হিসেবে হৃদয়কে খোঁজার কথা জানিয়ে আসছিল পুলিশ। হৃদয় উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকানে সবজি বিক্রি করেন বলে স্থানীয়রা জানায়। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। গত শনিবার সকালে ওই স্কুলেই পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪২)। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এর আগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হৃদয়কে নিয়ে সাতজন গ্রেপ্তারি হলেন। ওই ঘটনার ভিডিওতে হৃদয়কে রড হাতে নির্দয়ভাবে মধ্যবয়সী ওই নারীকে পেটাতে দেখা গিয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, ভিডিও দেখে দেখে এই ধরনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
এর মধ্যেই শনিবার তসলিমাকে পিটিয়ে মারা হয়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি তার মেয়েকে ভর্তির খবর নিতে ওই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। তসলিমার বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন টিটো বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে ইতোমধ্যে মামলা করেছেন। ওই মামলায় হৃদয়ের আগে গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে জাফর নামে একজন সোমবার বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া শাহীন (৩১), বাচ্চু মিয়া (২৮) ও বাপ্পী (২১) নামে তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কো হচ্ছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই সোহরাব হোসেন। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন আবুল কালাম আজাদ (৫০) ও কামাল হোসেন (৪০)। গ্রেপ্তার সবাই উত্তর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা।