বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং কিসিঞ্জারের ভূমিকা

5

 

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখ গভীর রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা থেকে গণহত্যা আরম্ভ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তদানীন্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থনপুষ্ট ছিল পাকিস্তান সামরিক বাহিনী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবং সে দেশের কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন পাকিস্তানের প্রতি ছিল না। এই ঘটনার প্রথম দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম এবং বিরোধী কংগ্রেস সদস্যরা তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষান্ত হন নাই, তাঁদের মধ্যে অনেক যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রভাবশালী ও সদস্যরা ভারতে এসে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার অক্লান্ত প্রয়াস পেয়েছেন। তখন পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন জোসেফ ফার ল্যান্ড, তিনি পাকিস্তানের জোর সমর্থক ছিলেন কিন্তু দেখা গেছে পাকিস্তানে আমেরিকান দূতাবাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তাঁর সাথে পাকিস্তানের বর্বরতার প্রতি সমর্থনের ব্যাপারে প্রকাশ্যে দ্বিমত পোষণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
যাই হোক, এরপরেও প্রেসিডেন্ট নিক্সন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়াকে সাহায্য সহযোগিতা করতে কার্পণ্য করেন নাই। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৪ ও ৫ নভেম্বর তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াট হাউসে নিক্সনের সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে নিক্সন এবং ইন্দিরা গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিএন হাকসার এবং প্রেসিডেন্ট নিক্সনের উপদেষ্টা হেনরী কিসিঞ্জার। কিন্তু সে বৈঠক ছিল একটি ব্যর্থ বৈঠক। এই ব্যর্থ বৈঠক সম্পর্কে হেনরী কিসিঞ্জার পরবর্তীকালে তাঁর লেখা ‘White House Years’ নামে লেখা বইতে লিখেছিলেন, ‘The Nixon – Indira Gandhi conversation (at the White House ) thus turned into a classic dialogue of the deaf. The two leaders failed to hear each other not because they did not understand each other but because they understood each other too well’ অর্থাৎ নিক্সন এবং ইন্দিরা গান্ধীর হোয়াইট হাউসের আলোচনা দুই বধিরের আলোচনায় পরিণত হয়েছিল। একজন অপরের কথা বুঝতে পারেন নাই বলে এটি ব্যর্থ হয় নাই বরং একে অপরের কথা খুব ভালো করে বুঝেছিলেন বলেই এটি ব্যর্থ হয়েছিল।
উপরোল্লিখিত ঘটনাগুলি একেবারে শেষ পর্যায়ের। হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭১ সালের জুলাই মাসেই পাকিস্তান থেকে গোপনে প্রথম চীন সফর করেছিলেন যা সারা বিশ্বের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ৬ জুলাই ১৯৭১ সালে হেনরী কিসিঞ্জার নয়দিলি­ সফরে ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী উনাকে সকালে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানান, সে চা চক্রে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল মানেকশাকে ও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে চাচক্রে ইন্দিরা গান্ধী কিসিঞ্জারকে বার বার অনুরোধ করেছিলেন। বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করে শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খাঁনকে চাপ দিতে কিন্তু কিসিঞ্জার ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধটা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন এবং অবশেষে কিসিঞ্জার জানতে চাইলেন ইয়াহিয়া খাঁন যদি এই কথায় সাড়া না দেয় তাহলে কি হবে ইন্দিরা গান্ধী রেগে গিয়ে বলেছিলেন সে ক্ষেত্রে তিনি ভারতীয় আর্মির চীপকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হুকুম দিতে বাধ্য হবেন। এর পরেই ইসলামাবাদ থেকে চীনের গোপন সফরে যাওয়ার জন্য তিনি ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন পরে তার অসুস্থতার কথা বলে তিনি নাথিয়া গলিতে ডাক্তারের চিকিৎসাধীন আছেন বলে প্রচার করা হয়। অথচ তখন তিনি চীনের উদ্দেশ্যেই গোপনে যাত্রা করেছিলেন। তখনকার সময়ে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্যের ফলে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন চীন সীমান্তে কয়েক ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছিল। যে কোন মুহূর্তেই এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার তীব্র আশংকা বিরাজ করছিল। এই ব্যাপারে চীন সরকারের আগেই পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছিল, ভারতের সাথে কোন আসন্ন যুদ্ধে পাকিস্তানকে চীনের পক্ষে সহায়তা করা সম্ভব হবে না।
যাই হউক, জুলাই মাসের ৯ তারিখে কিসিঞ্জার চীনে পৌঁছেন এবং ১১ তারিখ পর্যন্ত চীন সফর করেন। সফর শেষে যখন চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক যৌথভাবে স্বাক্ষরিত ইস্তেহার যা সারা বিশ্বে সাংহাই ইস্তেহার বলে পরিচিত, প্রকাশিত হয় তখন সারা বিশ্বে একটি কূটনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৭১ সালে জুলাই মাসের ১৫ তারিখে সারা বিশ্বের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের এই নতুন সম্পর্কের ব্যাপারে তার বক্তব্য পেশ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের এই নতুন সম্পর্ক এবং তার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্বের কথা বিশ্লেষণ করে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতিকে বিলম্ব করার ক‚টনৈতিক কৌশলসমূহ অবলম্বন করতে দ্বিধা করে নাই। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বের প্রচন্ড জনমত উপেক্ষা করা সম্ভব হয় নাই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে এবং বাংলাদেশ জাতিসংঘের সম্মানিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে তার আন্তর্জাতিক কর্তব্যগুলি আন্তরিকতা এবং দক্ষতার সহিত পালন করে যাচ্ছে। যাই হউক, এদেশের মানুষ পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের জন্য ও নিশ্চয় কাজ করেছে। কারণ পূর্ব বাংলার মানুষ বিরোধিতা করলে পূর্ববঙ্গ কোনদিন পাকিস্তানের অংশ হতে পারতো না।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর তদানীন্তন পাকিস্তানের সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খাঁন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো অক্লান্ত পরিশ্রমে পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলগুলিকে শাসনতন্ত্রের ব্যাপারে ঐকমতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পাকিস্তানের সৃষ্টির পর থেকে ইহাই ছিল পাকিস্তানের জন্য একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র। এর আগে অবশ্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদ্দীর প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের জন্য একটি গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র রচনার করা হয়েছিল। কিন্তু সে শাসনতন্ত্র কার্যকর হওয়ার আগেই পাকিস্তানের তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়ুবের নেতৃত্বে ১৯৫৮ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে যায় পরে এসে শাসনতন্ত্র আর কার্যকর করা সম্ভব হয় নাই।
যাই হউক, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার কিছুদিন পরেই জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় ৫ বছরের উপরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তাঁর নেতৃত্বে দ্বিতীয় বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে ও ভুট্টোর দল বিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জিয়াউল হকের নেতৃত্বে পাকিস্তানে ১৯৭৭ সালে আবার সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং জুলফিকার আলীকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে সে মামলার রায়ে তাঁর ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়।যখন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছিল তখন তিনি জেলে বসে তাঁর ফাঁসির ব্যাপারে এবং পাকিস্তানের ভবিষ্যতের ব্যাপারে টেবিলের অভাবে নিজের হাঁটুর উপরে কাগজ রেখে লিখতেন এবং যাই লিখতেন প্রতিদিন গোপনে (জেলারের সহায়তায়) বাইরে পাচার করে দিতেন। এইভাবে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হওয়া পর্যন্ত লিখে যান। পরে ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ লেখাগুলি বই আকারে বের হয়। বইয়ের নাম দেওয়া হয়, ‘If I am assassinated?, ‘আমাকে যদি হত্যা করা হয়?’। এই বইয়ের লক্ষ লক্ষ কপি সারাবিশ্বে বিক্রয় হয়েছে এবং বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ইহার অনুবাদ হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সামরিক শাসন একটি দেশের অস্তিত্বকে কিভাবে ধ্বংস করে দেয় তার বিবরণ জুলফিকার আলী ভুট্টো যেভাবে দিয়েছেন তা অন্য কারো পক্ষে দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।কারণ এই ব্যাপারে বিশ্বে তিনি একজন অদ্বিতীয় মানুষ। তিনি বিশ্বের একজন উল্লেখযোগ্য মেধাবী মানুষ ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ড উভয় দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি ছাত্র ছিলেন। এই ব্যাপারে তাঁর সবচাইতে বেশি উপযুক্ত হওয়ার আসল কারণ হলো তিনি ৩২ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষা শেষ করে প্রথমেই তিনি ১৯৫৮ সালে আইয়ূব খাঁন কর্তৃক পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করে প্রথম যে কেবিনেট ঘোষণা করা হয়েছিল, সে সরকারেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। কাজেই সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ব্যাপারে তাঁর জ্ঞান অবশ্যই অদ্বিতীয় হবে।
যাই হউক, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার কিছুদিন পরেই জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় ৫ বছরের উপরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তাঁর নেতৃত্বে দ্বিতীয় বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে ও ভুট্টোর দল বিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জিয়াউল হকের নেতৃত্বে পাকিস্তানে ১৯৭৭ সালে আবার সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং জুলফিকার আলীকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে সে মামলার রায়ে তাঁর ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়। যখন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছিল তখন তিনি জেলে বসে তাঁর ফাঁসির ব্যাপারে এবং পাকিস্তানের ভবিষ্যতের ব্যাপারে টেবিলের অভাবে নিজের হাঁটুর উপরে কাগজ রেখে লিখতেন এবং যাই লিখতেন প্রতিদিন গোপনে (জেলারের সহায়তায়) বাইরে পাচার করে দিতেন। এইভাবে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হওয়া পর্যন্ত লিখে যান। পরে ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ লেখাগুলি বই আকারে বের হয়। এই বইয়ের লক্ষ লক্ষ কপি সারাবিশ্বে বিক্রয় হয়েছে এবং বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ইহার অনুবাদ হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সামরিক শাসন একটি দেশের অস্তিত্বকে কিভাবে ধ্বংস করে দেয় তার বিবরণ জুলফিকার আলী ভুট্টো যেভাবে দিয়েছেন তা অন্য কারো পক্ষে দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।কারণ এই ব্যাপারে বিশ্বে তিনি একজন অদ্বিতীয় মানুষ। তিনি বিশ্বের একজন উল্লেখযোগ্য মেধাবী মানুষ ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ড উভয় দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি ছাত্র ছিলেন। এই ব্যাপারে তাঁর সবচাইতে বেশি উপযুক্ত হওয়ার আসল কারণ হলো তিনি ৩২ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষা শেষ করে প্রথমেই তিনি ১৯৫৮ সালে আইয়ূব খাঁন কর্তৃক পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করে প্রথম যে কেবিনেট ঘোষণা করা হয়েছিল, সে সরকারেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। কাজেই সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ব্যাপারে তাঁর জ্ঞান অবশ্যই অদ্বিতীয় হবে।
লেখক: কলামিস্ট